অল্প সময়েই প্রশাসনের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতা ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য বক্তব্যে এই অভিযোগ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এ সময় তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সামাজিক নিরাপত্তা নীতির কড়া সমালোচনাও করেন।
শিকাগোর সোফিটেল হোটেলে প্রতিবন্ধী সমর্থকদের এক সম্মেলনে প্রায় আধঘণ্টার ভাষণে বাইডেন বলেন, প্রশাসনের কাটছাঁট ইতোমধ্যেই লাখ লাখ যোগ্য মার্কিনীদের বিপদের মুখে ফেলেছে।
অল্প সময়েই প্রশাসনের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তাকে ‘এই লোক’ বলে সম্বোধন করেন বাইডেন। এরপর তিনি বলেন, ‘১০০ দিনেরও কম সময়ে প্রশাসনের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।’ তিনি জাতির বিভক্ত অবস্থার কথাও তুলে ধরেন এবং বলেন যে ৩০ শতাংশ লোকের যেন কোনো হৃদয়ই নেই।’
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং বাইডেনের বক্তব্যকে ‘অসংলগ্ন’ এবং ‘দুর্বল মনের প্রমাণ’ বলে আখ্যা দেন। চিউং বলেন, ট্রাম্প বারবার সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা ও বয়স্কদের উচ্চ বেতন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাইডেন সামাজিক নিরাপত্তাকে ‘পঞ্জি প্রকল্প’ বলার জন্য ইলন মাস্কের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ এই সুবিধাগুলো অর্জন করে, এদের উপর নির্ভর করে, কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না।’
তিনি বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের একটি মন্তব্য উল্লেখ করেন। যেখানে লুটনিক বলেন, তার ৯৪ বছরের শাশুড়ি যদি চেক না পান, তবুও অভিযোগ করবেন না। এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন বাইডেন।
এই বক্তব্যে বাইডেন নিজের বা প্রশাসনের পক্ষে কোনো আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি। মাঝেমধ্যে তাকে শুনতে অসুবিধা হচ্ছিল। বক্তব্যের কিছু পরে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি ভিডিও পোস্ট করে বাইডেনের অতীত মন্তব্য নিয়ে বিদ্রুপ করেন।
বাইডেন বলেন, স্কুল বাসে বর্ণভিত্তিক ছাত্র পরিবহনের অভিজ্ঞতা তাকে রাজনীতিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ট্রাম্প বরাবরই বাইডেনকে ‘মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট’ বলে সমালোচনা করে আসছেন।
শেষদিকে, ৮২ বছর বয়সী বাইডেন দলীয় বিরোধের জেরে এবং ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে দুর্বল পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্নির্বাচনের প্রচার থেকে সরে দাঁড়ান।
সূত্র : এনবিসি নিউজ




