নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট। তারা নিজ নিজ পোস্টে নিজেদের মতো করে এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছেন।
কওমি বুদ্ধিজীবী মাওলানা সাইফ সিরাজ বলেন, লীগকে ফিরায়েন না। ফিরতে দিয়েন না। যারাই তারে ফিরিয়েছে। ফিরতে দিয়েছে; তাদেরকেই অস্তিত্বহীন করেছে বা করতে চাইছে লীগ।
তিনি আরো বলেন, জিয়া ফিরিয়েছিলেন। জীবন দিতে হয়েছে। জামাত ফিরিয়েছিল। জীবন দিতে হয়েছে। চৌদ্দ দলের তেরো দল ফিরিয়েছিল। তাদের অস্তিত্ব বিলীন করেছে। সুতরাং সামনে যারা নিষিদ্ধ না করে ফিরানোর চিন্তা করছেন; তারা ইতিহাসের এই ক্রনোলজি মনে রাইখেন।
তিনি লীগ ফেরালে ভবিষ্যত কি হবে, নির্দেশ করে বলেন, মনে রাইখেন; এরপর লীগ ফিরলে এই দেশে মানুষ থাকবে না- লীগ থাকবে। ধর্ম থাকবে না- আওয়ামী ধর্ম থাকবে। সো হিসাব কইরা…
ইসলামপন্থী অ্যাক্টিটিভিস্ট ডা. মেহেদি হাসান বলেন, ৭১ প্রশ্নে অবস্থান যেটাই হোক, জামায়াত শিবির এখনো খেসারত দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন তাদেরকে রাজাকার বলে না-মানুষ বানিয়ে রাখা হয়েছিলো, তাদের টপ লিডারদেরকে অন্যায়ভাবে শহীদ করা হয়েছে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো, এমনকি এখনো তারা নিবন্ধন ফিরে পায়নি।
লীগ যে নৃশংসতা করেছে, নিজের দেশের ছাত্র জনতার ওপর বারবার যে গনহত্যা চালিয়েছে তার তুলনা হতে পারে কেবল হানাদার বাহিনীর সাথে। তারা এতো সহজে পার পেয়ে যাবে? এই বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
তিনি আরো বলেন, বাম ও প্রগতিশীল পাড়া জামায়াত ইস্যু সামনে এনে লীগ নিষিদ্ধের এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সেটার কোন সুযোগ নেই। বাম ও প্রগতিশীল পাড়া কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না? উত্তর সহজ। লীগ না ফিরলে তারাও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
কথা সিম্পল, লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।