ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসাথে এই বিষয়ে আরো কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চিফ অ্যাডভাইজার জিওবি-এর এক ফেসবুক পোস্টে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়েছে।
গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরিপত্র জারি হবে পরবর্তী কর্মদিবসে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা আফিস মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ হওয়াই অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী বন্দোবস্ত। তা করার জন্য ছাত্র-জনতার দাবি অনুযায়ী আইসিটি আইনে যাবতীয় সংশোধন করা হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিষিদ্ধ হবার পর গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কওমি বুদ্ধিজীবী ও জনপ্রিয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, মনে রাখবেন, এখন দুটি দরজা দিয়েই তারা বারবার ঢোকার চেষ্টা করবে, ফিরে আসার চেষ্টা করবে। মিডিয়া (মূলধারা ও সামাজিক মাধ্যম) এবং সংস্কৃতি/বিনোদন।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, নিউজে-ভিউজে, আলোচনায়-টকশোতে, নাটকে/মুভিতে, প্রোগ্রামে-ফিচারে, ইন্টারভিউয়ে-স্মৃতিচারণে ব্যাপক চেষ্টা চালাবে বেদনা-সহানুভূতি, মায়া-মহাব্বত এবং বৈধতা তৈরির। কাজের লোকেরা এই দুইটি দরজার দিকে খেয়াল রাখুন। ভালোভাবে খেয়াল রাখুন। কার্যকর চোখ বজায় রাখুন।
সতর্ক করে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, এই নিষিদ্ধতা গোটা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ মাত্র। যদি মিডিয়া ও সংস্কৃতির অঙ্গন এবং এ দু’ অঙ্গনের ব্যক্তিদের তালবাহানার দিকে চোখ না রাখেন এই প্রথম ধাপটিও ভেঙ্গে পড়বে। সচেতনতা ও প্রতিরোধ বজায় রাখলেই কেবল পরের ধাপগুলো অর্জিত হবে।




