আমিরাতের ‘গোল্ডেন ভিসা সার্টিফিকেট’ পেলেন আকাশ সরকার

বাংলাদেশি ক্রিয়েটিভ ইকোনমিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকাশ সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের ‘গোল্ডেন ভিসা সার্টিফিকেট’ পেয়েছেন। গত ৫ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ‘মিউজিক, ডিজিটাল কনটেন্ট এবং মিডিয়া টেকনোলজি’ ক্যাটাগরিতে ১০ বছরের ভিসা প্রস্তাবনা প্রাপ্তির আনুষ্ঠানিক চিঠি হাতে পেয়েছেন তিনি।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সরকারি সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে, সংস্কৃতি ও শিল্পক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আকাশ সরকারের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ভিসার মেয়াদ অনুমোদিত হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কার্যকর করা হবে এবং ১০ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে।

জানা গেছে, এনএস মিউজিক গত কয়েক বছরে ২০০-এর বেশি শিল্পী ও ২৫০-এর বেশি লেবেলের সাথে কাজ করে শক্তিশালী শ্রেণিবিন্যাস ও বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের সঙ্গীত পরিবেশন করে। অপরদিকে এনএস ডিজিটালের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও কন্টেন্ট সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে, যার ফলে দেশি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল উপস্থিতি আরো সুদৃঢ় হচ্ছে।

আকাশ সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, ‘আমি কখনোই ভাবিনি এত দ্রুত এই অর্জন সম্ভব হবে। এটা শুধুমাত্র আমার সাফল্য নয়, এনএস মিউজিক ও এনএস ডিজিটালের প্রতিটি টিম মেম্বারের পরিশ্রম, স্বপ্ন আর কমিটমেন্টের স্বীকৃতি।’

আকাশ সরকার আরো বলেন, ‘এখন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন আরো সহজ হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল শিল্প জগতের জন্য নতুন দরজা খুলছে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এর আগে মেগা স্টার শাকিব খান মিডিয়া প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে, এক্সপার্ট জার্নালিস্ট ক্যাটাগরিতে কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরস হিসাবে অবদানের জন্য শুভাশীষ ভৌমিক সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা পান। এছাড়া ভারত থেকে অভিনেতা ও সুপার স্টার রজনীকান্ত, শাহরুখ খান, সনজয় দত্ত ও টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা আরব আমিরাতের গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন।

যদিও বিনিয়োগ, ব্যবসাসহ নানা ক্ষেত্রে বহু প্রবাসী ভারতীয় ও বাংলাদেশি গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন এরই মধ্যে। এটাকে গোল্ডেন ভিসাও বলা হয়। এটা আমিরাত সরকারের একটি বিশেষ কর্মসূচি। এই ভিসার অধিকারীরা আলাদা মর্যাদা পান দেশটিতে।

বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে এই সুবিধা দেয়া হয়। গোল্ডেন রেসিডেন্সি প্রাপ্তরা আমিরাতের নাগরিক না হলেও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান, বিমানবন্দরে প্রিভিলেজসহ নানা সুবিধা পান।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top