আল্লামা সুলতান যওক নদভী

কে ছিলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী

আল্লামা সুলতান যওক নদভী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ মহেশখালীর এক মধ্যবিত্ত দ্বীনদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন আলহাজ্ব সূফী আবুল খায়ের এবং মাতা রূহ আফজা বেগম। নানা মাওলানা মকবুল আহমদ সাহেব রহ. ছিলেন হযরত মাওলানা যফর আহমদ সাহেব রহ.-এর খাস খলিফা।

তার পরিবার ছিল ধর্মপরায়ণ এবং দ্বীনী পরিবেশে গড়া। পিতা সূফী আবুল খায়ের ওলামা-মাশায়েখের ভক্ত ছিলেন এবং ঘরে সবসময় দ্বীনী আলোচনা ও যিকির-আযকার চলত।

তিনি মহেশখালীর বড় মহেশখালী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসন সম্ভবত ১৯৩৭ ঈসায়ী, হিজরী ১৩৫৬। পটিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি (১৯৫৩) সময় বয়স ছিল ১৬ বছর।

তিন/চার বছর বয়সে বার্মা সফরের পথে মাতার ইন্তেকাল হয়।

মাতার ইন্তেকালের পর পিতা সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রদর্শন করেন এবং বাল্যকাল থেকেই তাকে দ্বীনের জন্য উৎসর্গ করেন। পিতা চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি তোমাকে পড়িয়েছি এ জন্য যে, তুমি আমার পরকালে কাজে আসবে।”
অধ্যাপক আল্লামা সুলতান যওক নদভী রহ. একজন বরণীয় আলেম, সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ। তাঁর ছাত্রজীবনের শুরুটা হয় নিজ গ্রাম মহেশখালীর এক দ্বীনী পরিবেশে। শৈশবেই মাতৃহীন এই মেধাবী ছাত্র প্রথমে নিজের গ্রামে এবং পরে গোরকঘাটা, নতুনবাজারসহ আশেপাশের মাদরাসাগুলিতে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। শিক্ষার শুরু থেকেই তাঁর প্রতি সবচেয়ে বেশি দীক্ষাদান করেন খালু মাওলানা ফযল আহমদ সাহেব রহ.।

মাধ্যমিক পর্যায়ে তিনি নতুনবাজারের ইমদাদিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসায় কিছুদিন পড়াশোনা করেন, তবে প্রকৃত ইলমি অভিযাত্রা শুরু হয় ১৩৬৯ হি. সনে আশরাফুল উলুম ঝাপুয়া মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে। এখানেই মাওলানা মুজাহেরুল হক রহ. ও মাওলানা সাঈদ আহমদ গহিরাভী রহ.-এর স্নেহ ও তত্ত্বাবধানে তিন বছর অধ্যয়ন করেন। এখানেই তাঁর প্রতিভার উন্মেষ ঘটে এবং কুতুবে যমান মুফতী আযীযুল হক রহ. এর নজরে আসেন। এই পরিচয় তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

মুফতী আযীযুল হক রহ. এর বিশেষ তত্ত্বাবধানে ১৩৭২ হি. শাওয়াল মাসে তিনি পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা জামিয়ারিয়া পটিয়ায় ভর্তি হন এবং ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর লাভ করেন। এখানে ছয় বছর ব্যাপী তাঁর ইলমী সাধনার বসন্তকাল শুরু হয়। হাদীস, ফিকহ, সাহিত্যের পাশাপাশি আরবি, ফারসি ও উর্দু সাহিত্যে তাঁর পারদর্শিতা এতটাই বিকশিত হয় যে, তার লেখা কবিতা ও প্রবন্ধসমূহ বার্ষিক প্রকাশনায় নিয়মিত স্থান পেত। উর্দু ভাষায় তাঁর রচনার গাম্ভীর্য দেখে মাতৃভাষী উর্দুভাষীরাও বিস্ময় প্রকাশ করতেন।

১৩৭৮ হিজরী/১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দাওরায়ে হাদীস সমাপন করে প্রথম শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করেন এবং দস্তারবন্দী অনুষ্ঠানে পাগড়ি পরান চট্টগ্রামের প্রখ্যাত বুযুর্গ শাহ আব্দুর রহমান চূড়ামণী রহ.। এভাবেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত হয়।

এই দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে তিনি অসংখ্য মনীষীর সংস্পর্শে আসেন, যেমন মুফতী আযীযুল হক রহ., মাওলানা ইউনুছ রহ., মুফতী ইবরাহীম রহ. প্রমুখ। পরে হাদীসের উচ্চতর সনদ গ্রহণে পাকিস্তান, ভারত ও সিরিয়ার বহু খ্যাতনামা মুহাদ্দিসদের সান্নিধ্য লাভ করেন, যেমন- আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী, আল্লামা জাকারিয়া কান্ধলভী, আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী, আল্লামা আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ প্রমুখ।

ইলমচর্চাকারীদের পিপাসা কখনো নিবৃত হয় না; বরং তা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। শিক্ষা সমাপ্তির পরও হযরতের ইলমী স্পৃহায় কোনো ভাটা পড়েনি। বরং তিনি নানা সময়ে নিজের গভীর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতেন—ইলমচর্চা ও খেদমতের মাধ্যমেই তিনি জীবন অতিবাহিত করতে চান। তাঁর পিতারও একই প্রত্যাশা ছিল। তাই হযরতের বর্ণাঢ্য জীবনে দেখা যায়, ফারাগাতের পর থেকে আজ অবধি তিনি অধ্যয়ন ও জ্ঞান বিতরণে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন।

ফারাগাতের পর বিভিন্ন মাদরাসা থেকে হযরতের জন্য শিক্ষকতার প্রস্তাব আসতে থাকে। বিভিন্ন মাদরাসার দায়িত্বশীলরা মুফতী সাহেব রহ. এর কাছে আবেদন করতে লাগলেন, যাতে হযরতকে তাদের প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মুফতী সাহেব রহ. এর ইঙ্গিতে হযরত বশরতনগর মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ হাদীসগ্রন্থ ‘মিশকাত শরীফ’, ফিকহে হানাফীর অন্যতম কিতাব ‘হিদায়া’ (প্রথম ও তৃতীয় খণ্ড), এবং আরবি সাহিত্যের বিখ্যাত কিতাব ‘দিওয়ানে মুতানাব্বী’ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। হযরত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে থাকেন এবং অল্প সময়েই বোদ্ধামহলের প্রশংসা অর্জন করেন। স্বয়ং মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মফজল আহমদ রহ. (মৃ. ১৩৯২ হি.) হযরতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রায় দুই বছর তিনি সেখানে শিক্ষকতা করেন।

এরপর ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে নেজামে ইসলাম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা আতহার আলী রহ. এর আহ্বানে কিশোরগঞ্জের তৎকালীন বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইমদাদিয়াতে চলে যান। সেখানেও (জুমাদাল উখরা ১৩৮০ হি. থেকে শাবান ১৩৮০ হি. পর্যন্ত) অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে পাঠদান করেন।

১৩৮০ হিজরির রমজানে হযরত বাড়িতে আসেন। তখন তাঁর শ্বশুর, মাদরাসা হুসাইনিয়া ইয়াহইয়াউল উলুম-এর মুহতামিম মাওলানা আলী আহমদ বোয়ালভী রহ. সৌদি আরবে হিজরতের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং হযরতকে মাদরাসার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। একপ্রকার অনিচ্ছাসত্ত্বেও হযরত শেষমেশ প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

মুফতী আযীযুল হক রহ. এর ইচ্ছা ছিল হযরতকে পটিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু আকস্মিক মৃত্যুতে জীবদ্দশায় তা আর সম্ভব হয়নি। এরপর ১৩৮১ হিজরির রমজান মাসে পটিয়া মাদরাসার তৎকালীন মুহতামিম হাজী ইউনুছ রহ. এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হযরত পটিয়ায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

মাদরাসা জমিরিয়া, পটিয়াতেই হযরতের শিক্ষকতা প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ ঘটে। তাঁর শৈল্পিক শিক্ষাদানের গুণে ছাত্র-শিক্ষক সবাই মুগ্ধ হন। অল্প সময়েই তাঁর পদোন্নতি হতে থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ হাদীস, ফিকহ ও আরবি সাহিত্যের কিতাবগুলো তাঁর উপর অর্পিত হয়। তিনি নিজে থেকে কখনো উচ্চশ্রেণির দায়িত্ব চাননি; বরং কর্তৃপক্ষ তাঁকে জোর করেই দায়িত্ব দিত। তিনি প্রায়ই নিজেকে অযোগ্য মনে করে অপারগতা প্রকাশ করতেন।

হযরতের অধ্যাপনার গুণে মাদরাসার দায়িত্বশীলগণ এতটাই সন্তুষ্ট হন যে, যখন প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ শায়খুল হাদীস হিসেবে একজন যোগ্য মুহাদ্দিসের প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন সবার দৃষ্টি হযরতের দিকেই নিবদ্ধ হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁকে তিরমিযী শরীফের পাঠদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পটিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতে গিয়েই হযরতের সৃজনশীল মানসিকতার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় মনোনিবেশ করেন। আরবি ভাষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং ‘আস-সুবহুল জদীদ’ নামে একটি ত্রৈমাসিক আরবি পত্রিকা প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি তাঁর উন্নত মানসিকতার প্রমাণ রাখেন। সে সময় পটিয়া মাদরাসা লেখালেখি ও কাব্যচর্চায় খ্যাতিমান ছিল, হযরতের তত্ত্বাবধানে তা আরও বেগবান হয় এবং এর খ্যাতি মাদরাসার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। সাহিত্যানুরাগী ছাত্ররা বক্তৃতা, প্রবন্ধ, কবিতা রচনায় তাঁর কাছ থেকে উপকৃত হন। হযরতের সান্নিধ্যে গড়ে ওঠা এসব ছাত্র পরবর্তীতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি আরবি, উর্দু ও ফারসি—তিন ভাষাতেই পারদর্শী ছিলেন। এ সময় তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বোদ্ধামহলে প্রশংসিত হন।

হযরত পটিয়া মাদরাসা থেকে দুইবার নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইস্তফা দেন। উভয়বারের লক্ষ্য এক হলেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। মূলত শিক্ষা-কারিকুলামের সংস্কার ও উন্নয়নের চিন্তাই ছিল ইস্তফার প্রধান কারণ।

১৩৮৫ হিজরিতে একটি যুগোপযোগী, আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি প্রথমবার পটিয়া ত্যাগ করেন এবং সমমনা বন্ধু মাওলানা কামাল উদ্দীন রহ. কে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদে ‘কাসেমুল উলুম’ নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু দু’বছরের মধ্যে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। তাই তিনি সেখান থেকে সরে আসেন এবং মাওলানা হারুন বাবুনগরী রহ. (মৃ. ১৪৩৫ হি.)-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাদরাসায়ে আযীযুল উলুমে যোগ দেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের আগ পর্যন্ত চার বছর তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তৎকালীন পটিয়ার মুরব্বী ও দায়িত্বশীলদের আহ্বানে হযরত দ্বিতীয়বার (১৩৯২ হি.) পটিয়ায় যোগ দেন। প্রায় ১৪ বছর শিক্ষকতা শেষে ১৪০৫ হি. সনে তিনি দ্বিতীয় দফা ইস্তফা দেন। হযরত দীর্ঘদিন ধরেই একটি যুগোপযোগী দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেন। পটিয়ায় শিক্ষকতার এ পর্যায়ে এসে তিনি তাঁর সেই চিন্তা জাতির সামনে তুলে ধরেন তাঁর আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রবন্ধ ‘মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের ডাক’-এর মাধ্যমে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর এ উদ্যোগকে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। হযরত চাইলে তৎক্ষণাৎ ওই ষড়যন্ত্র উন্মোচন করতে পারতেন, কিন্তু তিনি ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে নিজ লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থে ২৬ শে শাবান ১৪০৫ হিজরিতে দ্বিতীয়বার ইস্তফা দেন।

আল্লামা সুলতান যওক নদভী বাংলাদেশের ইসলামি জগতে এক ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব, যিনি হাজার হাজার আলেম, চিন্তাবিদ ও দাঈ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তার শিষ্যদের অনেকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলামী শিক্ষা, দাওয়াত ও গবেষণার ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

তিনি কওমি ও আলিয়া ধারার ব্যবধান ঘোচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং কওমি শিক্ষার আধুনিকায়নে ‘দারুল মা‘আরিফ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে আকীদা, ইতিহাস, দাওয়াহ ও রাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি বিষয় আধুনিক ও আধুনিকতাবিরোধী উভয় চিন্তাধারার সমন্বয়ে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। তার এ উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যে বহু আলেম গবেষণা করেছেন এবং থিসিস রচনার বিষয় হিসেবে নিয়েছেন।

সমাজ ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ে তিনি বরাবরই নির্ভীক অবস্থান নিয়েছেন। ফতোয়া বিরোধী রায়, ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া প্রচারণা কিংবা ইসলামবিরোধী আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি জনমত গঠনে ওলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। হেফাজতের প্রতিরোধ আন্দোলনে মাঠপর্যায়ে অংশগ্রহণ করেও তিনি চরমপন্থা ও উগ্রতার বিপক্ষে ছিলেন।

ধর্মীয় রাজনীতির বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে একটি বৃহত্তর জাতীয় ইসলামি ঐক্য গড়ার প্রয়াসে তিনি ১৯৯২ সালে সবধরনের ইসলামপন্থীদের একত্রিত করতে ‘সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ’ গঠনের উদ্যোগ নেন, যদিও তা দলকেন্দ্রিক চিন্তাধারার কারণে বাস্তবায়িত হয়নি।

কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি আদায়ের সংগ্রামেও তিনি যুক্ত ছিলেন। বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তার দীর্ঘদিনের বক্তব্য, পরামর্শ ও ঐকমত্য গঠনের প্রয়াস ওলামায়ে কেরামের মধ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top