আল কাসসাম ব্রিগেডে নতুন সদস্য নিয়োগ

আল কাসসাম ব্রিগেডে ৩০ হাজার তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করল হামাস

টুডেনিউজ বিডি ডটনেট

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডে নতুন সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে নতুন করে ৩০ হাজার তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সৌদি আরবভিত্তিক চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল কাসসাম ব্রিগেডে নতুন সদস্য নিয়োগ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড প্রায় ৩০ হাজার তরুণকে নিয়োগ দিয়েছে। এই তরুণদের বেশিরভাগকেই আল-কাসসাম ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গোপন সামরিক শিবিরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গেরিলা যুদ্ধ, রকেট হামলা এবং বিস্ফোরক স্থাপন সংক্রান্ত কৌশল শেখানো হয়েছে।

তবে এই তিনটি বিষয়ের বাইরে তাদের সামরিক দক্ষতা সীমিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে নিয়োগপ্রাপ্তদের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে যে এটি চলমান যুদ্ধের সাম্প্রতিক সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট।

গাজায় শিশুদের হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে মাইক্রোসফটের কোড

প্রসঙ্গত, গাজা যুদ্ধ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয়। এতে প্রায় ১,২০০ জন ইসরাইলি নিহত হয় এবং ২৫১ জন বন্দী হয়। বর্তমানে হামাসের কাছে ৫৯ জন বন্দী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত, অনেকেই বসবাস করছে তাঁবুতে কিংবা ধ্বংসস্তূপে।

পশ্চিমতীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের বিজ্ঞাপনে বিপুল অর্থ লাভ করছে ফেসবুক-মেটা

ইসরাইলে প্রতি সপ্তাহেই বড় বড় বিক্ষোভ চলছে। জনগণ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে, বন্দীদের ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে একটি চুক্তি করতে হবে। এর জন্য যদি যুদ্ধও বন্ধ করতে হয়, সেটিই যেন করা হয়।

এর আগের ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৯০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরে মুওয়াসি এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় নিহত হন অন্তত ১১ জন। সেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইল নিজেই এলাকাটিকে ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

এদিকে, ছয় সপ্তাহ ধরে চলা অবরোধে গাজায় খাদ্য ও ওষুধের প্রবেশ নিষিদ্ধ। জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। অধিকাংশ মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যপ্রাচ্য অফিসের প্রধান ড. হানান বালখি আহ্বান জানিয়েছেন, নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিকে অবরোধ প্রত্যাহারে ইসরাইলের ওপর চাপ দিতে। তিনি বলেন, আমি চাই তিনি যেন ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি সরাসরি দেখেন।

সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল

গাজায় ইসরাইলি সেনাদের যুদ্ধাপরাধের নমুনা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top