টুডেনিউজ ডেস্ক
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দেশটির অভ্যন্তরে মোসাদের চক্রগুলো ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। ইরানি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এ সময়কালে তারা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারের ঘটনাগুলো প্রধানত সংঘটিত হয়েছে কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফারস ও লোরেস্তান প্রদেশে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ছোট আকারের বিমান ও আত্মঘাতী ড্রোন পরিচালনা, হোমমেড বোমা তৈরি, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থানের ছবি সংগ্রহ এবং সেগুলো ইসরাইলি বাহিনীর কাছে পাঠানো।
নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ১০ হাজারেরও বেশি ছোট বিমান জব্দ করা হয়েছে। ১৩ জুন ইসরাইলি হামলার পর, ইরান সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা এসব গুপ্তচরবৃত্তির মামলার বিচার দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করবে।
এদিকে, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উর্মিয়া কারাগারে বুধবার তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার জন্য সরঞ্জাম আমদানি এবং শত্রু রাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা। ইরানের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মেহর নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সালেহের পুত্র ইদ্রিস আলী, আব্দুল রহমানের পুত্র আজাদ শোজাই এবং আহমদের পুত্র রসুল আহমেদ রসুল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ইসরাইলের পক্ষে বিভিন্ন বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন এবং দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হত্যার উদ্দেশ্যে সরঞ্জাম এনে দিচ্ছিলেন।
মেহর নিউজ জানিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বুধবার সকালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগেও ইরান মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের দায়ে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যা এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা।
এর মাত্র একদিন আগেই, সোমবার ইরান সরকার মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
সূত্র : মেহর নিউজ এজেন্সি/আল জাজিরা