মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন তেহরানকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ইরানে ‘শাসন পরিবর্তনের’ কোনো ইচ্ছা পোষণ করে না।
রবিবার সকালে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার পরপরই এই বার্তা দেয়া হয়।
সিবিএস নিউজ জানায়, মার্কিন সরকার ইরানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে জানায়, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এর উদ্দেশ্য কোনো নতুন হামলার সূচনা নয়। বরং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য।
এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক কূটনৈতিক পথ খোলা রাখতে চাইছেন যা ভবিষ্যতে অঞ্চলটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানান, “এই হামলা ছিল একতরফা সামরিক পদক্ষেপ, যুদ্ধের সূচনা নয়। এটি ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে করা হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই পদক্ষেপ ছিল ভবিষ্যৎ হামলা প্রতিরোধে এক ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।”
এর আগে, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানের ফোরডো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইসরাইল দাবি করেছে, তারা ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ‘বৃহত্তম হামলা’ চালিয়েছে এবং এতে বেশ কয়েকজন ইরানি সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি একটি হত্যার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব এবং উত্তেজনার মাত্রা নির্দেশ করে।
যদিও মার্কিন প্রশাসন আঞ্চলিক মিত্রদের চাপের মুখে রয়েছে, হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়াতে চায় না। তবে তারা ঘোষণা দিয়েছে, প্রয়োজনে অঞ্চলটিতে নিজেদের বাহিনী ও কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় কোনো দ্বিধা করবে না।
সূত্র : স্কাই নিউজ