ইরান, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র,

মার্কিন হামলায় ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা আদৌ ক্ষতি হয়েছে কিনা?

টুডেনিউজ ডেস্ক

সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন বিমান হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, এই হামলা “ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা ধ্বংস করার লক্ষ্য অর্জন করেছে।” ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও হামলাকে ‘ঐতিহাসিক জয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে বাস্তবতা কিছুটা জটিল। বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে, এমনটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ইরানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ফোরডোতে হামলার প্রকৃত প্রভাব এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এক ইরানি আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, স্থাপনাটি কেবল উপরের দিক থেকে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে পাওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং ইরানি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই হামলার ফলে তেজস্ক্রিয় পদার্থের কোনো উল্লেখযোগ্য ফাঁস ঘটেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে হামলার পূর্বে ইরানি কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্যভাবে তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ সরিয়ে নিয়েছিল।

এছাড়া যদিও তিনটি প্রধান লক্ষ্যবস্তু—ফোরডো, নাতানজ ও ইসফাহান—গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মার্কিন পক্ষ দাবি করছে, তথাপি ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা এখনো রয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে ইরান ভবিষ্যতে এই কর্মসূচি পুনর্গঠনের সক্ষমতা ধরে রেখেছে। পাশাপাশি, দেশটির গোপন স্থাপনাগুলোও থেকে যেতে পারে, যেগুলোর অস্তিত্ব কিংবা অবস্থা এখনো অজানা।

তবে ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, যদি এই হামলাকে ‘চমৎকার সামরিক সাফল্য’ ধরা হয়, তাহলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি হয়তো কয়েক মাস বা বছরের জন্য পিছিয়ে গেছে। তবে স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে কিনা, কিংবা ইরান এই ক্ষতি কত দ্রুত পূরণ করতে পারবে—তা সময়ই বলে দেবে।

সূত্র : সিবিএস নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top