টুডেনিউজ ডেস্ক
মঙ্গলবার সকালে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের বেয়ারশেবা শহরে ইরানের রকেট হামলায় তিনজন ইসরাইলি নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। ইরানের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অংশ হিসেবে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
আজ সকাল ৭টা নাগাদ নির্ধারিত যুদ্ধবিরতির ঠিক আগে উত্তর থেকে দক্ষিণ ইসরাইলজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতাসংক্রান্ত সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরাইলি হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের অংশ হিসেবে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় হামলা হয়েছে।
হোম ফ্রন্ট কমান্ডের তথ্যমতে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র আসার তথ্য শনাক্ত করার পর তাদের প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা সমগ্র ইসরাইলজুড়ে—দক্ষিণের ইলাত থেকে উত্তর সীমান্ত মেতুল্লা পর্যন্ত—প্রসারিত করা হয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদকের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কিছু হাইফা শহর পর্যন্ত পৌঁছেছে।
পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি, বৃহত্তর তেল আবিব অঞ্চল, দক্ষিণ উপকূলীয় সমভূমি এবং বেইত শে’আন এলাকাসহ বহু শহরে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন শোনা গেছে।
ইসরাইলি রেডিও এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ইরান সকাল ৭টার যুদ্ধবিরতির আগেই তাদের চূড়ান্ত আঘাত হানার কৌশল নিয়েছিল। তবে এই শেষ দফার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সীমিত ছিল এবং সংখ্যা ছিল চারটির বেশি নয়।
এই হামলা ইরানের ওপর ইসরাইলের পাল্টা হামলার প্রেক্ষিতে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে।
ট্রাম্প একটি সামাজিকমাধ্যম পোস্টে জানান, যুদ্ধবিরতি প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে এবং এটি প্রাথমিকভাবে ১২ ঘণ্টা স্থায়ী থাকবে। এরপরে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই ঘোষণার ঠিক আগেই ইরান কাতারের আল উদেইদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
সূত্র : আল জাজিরা