ইরান-ইসরাইল সঙ্ঘাতে ক্ষমতা, বিপ্লব ও অস্তিত্বের লড়াই

রাকিবুল হাসান

এক—
ইরান কোনো দেশের বিরুদ্ধে লড়ছে না, ইরান লড়ছে গ্লোবাল হেজিমনদের তৈরি করা মধ্যপ্রাচ্যের সেটাপের বিরুদ্ধে।
ফলে এখানে আমেরিকা যেমন হেলফায়ার মিসাইল পাঠিয়েছে, ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলোও ইরানের পারমাণু সংক্রান্ত তথ্য, অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। এমনকি প্রতিবেশি মুসলিম আরব রাষ্ট্রগুলোও আকাশসীমা খুলে-বন্ধ করে, ড্রোন-মিসাইল প্রতিহত করে ইরানের বিরুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
ইরান আমেরিকা, ইউরোপ, ইজরাইল কিংবা কোনো আরব একক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে না। তাদের সম্মিলিত শক্তি ও সেটাপের বিরুদ্ধে লড়ছে।
তাই এখানে যারা হিসাব কষছে যে ইরানের শক্তি কতটুকু, ইজরাইলের কতটুকু, এটা ভুল হিসাব।
ইরান আসলে কাইন্ড অব এক্সিস্টই করে না। যে দেশের বিমান বাহিনি নাই, এমনকি আধুনিক হেলিকপ্টারের অভাবে তাদের খোদ প্রেসিডেন্ট মরে যেতে হয়, রাডার নাই, আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা নাই, ৪৫ বছর ধরে সর্বাত্মক অবরোধে জর্জরিত, সেখান থেকেও যে ফাইট দিচ্ছে, তা এক কথায় বিস্ময়কর।

দুই—
ইরানের শিয়া বিপ্লবের পর থেকে দেশটি অর্থনৈতিক ও সামরিক অবরোধের শিকার। ফলে বিপ্লব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এবং দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে তাদের কিছু পলিসি নিতে হয়েছে। তন্মধ্যে একটা হল—যেহেতু তাদের বিমান বাহিনি নেই, বহির্বিশ্ব থেকে কেনার উপায়ও নেই, তাই আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের একমাত্র উপায় হল মিসাইল ডেভেলপ করা।
ফলে ইজরাইল শত শত বিমান নিয়ে এসে আক্রমণ করলেও ইরানের হাতে শত শত মিসাইল ছোঁড়া বাদে ইজরাইলে আক্রমণের কোনো অপশন নাই।
দেশটির দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা হল—দেশে দেশে প্রক্সি গড়ে তোলা। এটাকে অনেকে বলে থাকে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স। অর্থাৎ হামলা ইরানের সীমান্তে আসার আগেই সেটাকে অনেক দূরে, শত্রু দেশের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া।
ইরানের প্রতিরক্ষার তৃতীয় স্তম্ভ হল—পরমাণূ কর্মসূচী।

তিন—
আপনাদের অনেকেই হয়ত জানেন না, ইজরাইল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সর্বপ্রথম যে কয়টা রাষ্ট্র ইজরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার একটা হল ইরান। তখন শাহ-এর শাসন চলে। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে না, বরং গোটা বিশ্বে ইজরাইলের সবচাইতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর একটা ছিল ইরান। অস্ত্র দিয়ে, গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে, মোসাদকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে ইরান ইজরাইলকে সহায়তা করে গেছে।
শাহ এর পতনের পর সেই সম্পর্কে ভাটা পড়ে। তবে ইরাক-ইরান যুদ্ধে ইজরাইল ইরানকে সহায়তা করেছে। কারণ তখন সাদ্দাম হোসেইনের ইরাক ছিল মধ্যপ্রাচ্যে সবচাইতে শক্তিশালী রাষ্ট্র। বিধ্বংসী অস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির শঙ্কা ছিল ইরাককে ঘিরে। ফলে তখন আজকের মত—শিয়া ইরান শত্রু ছিল না, ছিল সুন্নি ইরাক।
প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধেও সবগুলো সুন্নি আরব রাষ্ট্র অপর সুন্নি আরব রাষ্ট্র ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রধান পার্টনার ছিল। ঘাঁটি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে—সবকিছু দিয়ে সৌদি আরবসহ অধিকাংশ আরব রাষ্ট্র ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
তবে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই খেলা পাল্টে যায়। ইরান নিজেই পরমাণু কর্মসূচী হাতে নেয়। ফলে ইরাকের পরিবর্তে ইজরাইলের প্রধান শঙ্কার জায়গায় চলে আসে ইরান।

চার—
২০০৩ সালে ইরান ৩ পয়েন্টের কিছু বেশি পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পরিশোধন করতে পারত। দুনিয়াজুড়ে তখন ওয়ার অন টেররের রমরমা। ইরাকে আক্রমণ হয়েছে, এর পরই ইরানের পালা। আয়াতুল্লাহ ফাতাওয়া জারি করলেন—পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা হারাম।
২০১৬ সালে যখন আমেরিকার সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তি হয়, তখন ইরান ২০ পার্সেন্টের কাছাকাছি পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পরিশোদন করতে পারে। চুক্তিতে এটাকে পুনরায় ৩.৬৭ এ নিয়ে যাওয়া হয়। অর্থাৎ ইরান এর চাইতে বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। পরিমাণও বেঁধে দেওয়া হয় ৩০০ কিলো। পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে ৯০% পর্যন্ত পরিশোধিত ইউরেনিয়াম লাগে।
২০২৫ সালে এসে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পরিশোধন করতে পারে। বাট ৬০ শতাংশের পর ৯০ শতাংশে পৌঁছতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। অর্থাৎ ধরে নেওয়া হয় যার নিকট ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশোধন করার প্রযুক্তি আছে, সে চাইলে খুব সহজেই ৯০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পরিশোধন করতে পারবে।

পাঁচ—
ইজরাইলের এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী?
উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট। নেতানিয়াহু তার ভাষণে বলেছে—আমরা একইসাথে মিসাইল এবং পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন ইরানের সাথে বসবাস করতে পারব না। অর্থাৎ যেকোনো মূল্যে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র থেকে বিরত রাখতে হবে। রাখতেই হবে।
আর যতদিন ইরানে শিয়া বিপ্লবীরা ক্ষমতায়, ততদিন পরমাণু প্রকল্প চলতে থাকবে। ফলে পরমাণু প্রকল্প স্থায়ীভাবে আটকাতে হলে অবশ্যই অবশ্যই এই রেজিম (সরকার না) চেঞ্জ করতে হবে। সেক্যুলার, চাটা, মেরুদণ্ডহীন শাসক বসাতে হবে।
ফলে একই সাথে ইরান যখন আক্রান্ত হচ্ছে, তখন ইজরাইলের বোম্বিং এর পাশাপাশি জনগণকে এই রেজিমের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিচ্ছে। পলাতক শাহ এর ছেলে আর তার রাজনৈতিক দলও একই আহবান জানাচ্ছে। কুর্দি বিদ্রোহীরা একই আহবান জানাচ্ছে।
তবে এই প্রকল্প ব্যাকফায়ার করেছে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ ইরানের এই মোল্লাতন্ত্রের ঘোরতর শত্রু সেখানকার সেক্যুলাররা, স্পেশালি সেক্যুলার নারীরা। ইরানের ভেতরে ও বাইরে এই শ্রেণিটা বর্তমান রেজিমকে ইজরাইলের চাইতেও বেশি ক্ষতিকর মনে করে। ফলে আশা ছিল তারা এই রেজিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।
কিন্তু বাহ্যত দেখা যাচ্ছে উল্টো ঘটনা। সেক্যুলার নারীরা বরং সরকারের কাছে জবাবদিহি চাচ্ছে কেন এখনো পরমাণু অস্ত্র বানানো হয় নাই? এখন না হলে আর কবে?
সাধারণত যুদ্ধ এমনই হয়। রাশিয়াও ইউক্রেনে সরকার পরিবর্তন করতে চাইছিল। কিন্তু সেই সরকার এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও প্রধান সব বিরোধী দলের সমর্থনে দেশ চালাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচনের দাবিতে তেব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে, সেই সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য দেশটা বাঙ্গুল্যান্ড হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

ছয়—
এই যুদ্ধ কবে, কোথায় গিয়ে থামবে?
যুদ্ধের শুরুটা নিজেদের হাতে, শেষটা কারো হাতে না। প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটতে থাকে যা ক্রমাগত যুদ্ধের প্রারম্ভিক সময়ের ক্যালকুলেশন চেঞ্জ করে দিতে থাকে। এটা ইউক্রেনের ক্ষেত্রে যেমন সত্য, গাযার ক্ষেত্রেও সত্য, ইরানের ক্ষেত্রেও সত্য।
ইজরাইল বলছে তারা চায় না আজকে যেটুকু পিছিয়েছে ইরানকে, দুইবছর পর ইরান আবার সেখানে ফিরে যাক। অর্থাৎ তারা স্থায়ী সমাধান চাইছে। সেক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ হল ইরানের রেজিম পরিবর্তন। দ্বিতীয় পছন্দ হল—দাসখত দিয়ে একটা পরমাণু চুক্তি। আলটিমেট গোল হল—যেকোনোমূল্যে ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র যাওয়া ঠেকানো।
এক্ষেত্রে অবশ্য বাঙ্গুল্যান্ডের গাণ্ডুদের সাথে ইজরাইলের পলিসিগত মিল অসাধারণ। একদম খাপের খাপ।
আমেরিকা-ইজরাইল চাচ্ছে ইরান এই শর্তে চুক্তি করবে যে তারা ইউরেনিয়াম একদমই সমৃদ্ধ করবে না। বরং ভিন্ন দেশ থেকে ইউরেনিয়াম এনে তাদের বিদ্যুৎ খাত চালাবে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মত আরকি।
ইরান চাচ্ছে তারা পরমাণু অস্ত্র বানাবে না, কিন্তু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। হয়ত আগের মত ২-৩ মাত্রায়। বাট সমৃদ্ধ করবে। মূল পয়েন্ট হল—পরমাণু যে প্রযুক্তি, এই প্রযুক্তিতে তাদের দখল থাকবে, তাদের ম্যানপাওয়ার থাকবে। কখনো চুক্তি ভঙ্গ হলে অধিকতর মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করায় ফিরে যাবে।
আমেরিকা-ইজরাইল চাচ্ছে এই প্রযুক্তিতে ইরানের কোনো দখলই থাকবে না। জাস্ট একটা জেনারেশন পর তারা বাঙ্গুল্যান্ডের মত রাশিয়া থেকে রিয়েক্টর এনে, ইন্ডিয়া থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাবে। আর উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসায়ে দিবে।

সাত—
ইজরাইল আজকে না, বরং সেই ২০০০ সাল থেকে চাচ্ছে—যেকোনো মূল্যে ইজরাইলের হয়ে আমেরিকা যেন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যায়। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই আজকের দিনেও নেতানিয়াহুর সবচাইতে বড় চাওয়া হল—আমেরিকা এই যুদ্ধে ইজরাইলের হয়ে যোগ দিক।
যদিও সরাসরি হেলফায়ার মিসাইল দিয়ে আমেরিকা ইজরাইলকে সহায়তা করেছে। শুক্রবার রাতে আক্রমণ হয়েছে। এর আগের মঙ্গলবার আমেরিকা গোপনে ইজরাইলের ৩০০ হেলফায়ার মিসাইল পাঠিয়েছে। শুক্রবার রাতে ঠিক ৩০০ স্থানেই সুনির্দিষ্ট টার্গেটে আক্রমণ হয়েছে। ফলে এটা বলাই বাহুল্য যে এই আক্রমণে হেলফায়ার মিসাইল ইউজ হয়েছে।
বাট অফিশিয়ালি আমেরিকা বলছে এই আক্রমণে তারা যুক্ত না। ইরানও যদিও জানে যে আমেরিকা যুক্ত, বাট তারা আমেরিকান কোনো স্থাপনায় আক্রমণ চালাচ্ছে না। কারণ আমেরিকা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যদি তাদের কোনো স্বার্থে আঘাত আসে, সরাসরি তারা যুদ্ধে জড়াবে।
ইরান জানে, এটা ইরানকে আদিম যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ইজরাইলও এটা জানে। তাই ইজরাইল নিজেই আমেরিকার স্বার্থে আক্রমণ করে ইরানের উপর দায় চাপিয়ে দিবে, শিবিরের উপর দায় চাপানোর মত। এতে হয়ত আমেরিকারও সায় থাকবে, এমনকি দুইজনের যৌথ পরিকল্পনায়ও এটা বাস্তবায়িত হতে পারে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দুইটাতে আমেরিকা নিজ ইচ্ছা ও পরিকল্পনায় এইভাবেই জড়িত হয়েছিল।
প্রতিবেশি রাষ্ট্রে থাকা ঘাঁটিগুলো আক্রমণ করলে সবচাইতে বড় যে বিপদটা হবে সেটা হল-যেই দেশে অবস্থিত ঘাঁটি আক্রমণ করবে, সেই দেশ অনিবার্যভাবেই ইরানের ঘোরতর শত্রুতে পরিণত হবে। এটা বন্ধুহীন ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও নিঃসঙ্গ ও ভালনারেবল করে তুলবে।

আট—
ইরান কি চুক্তিতে যাবে নাকি পরমাণু অস্ত্র বানাবে?
এই সরকার এবারের যুদ্ধে টিকে গেলে নিঃসন্দেহে পরমাণু অস্ত্র বানাবে।
বাট সেই পরমাণু অস্ত্র কি ইজরাইলের মত ক্ষতিকর?
না।
এইসব মতাদর্শিক জায়োনিজম বুঝতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বুঝতে হবে পরমাণু অস্ত্র কেন লাগে? এটা কি অফেন্সের পার্ট নাকি ডিফেন্সের?
পরমাণু অস্ত্র মূলত ডেটারেন্সের পার্ট এবং এটা একটা স্ট্রাটেজিক উইপন। কনভেনশনাল কিংবা টেকটিক্যাল না।
অর্থাৎ পরমাণু অস্ত্র থাকার অর্থ এই দেশের সাথে ঘাটাইতে গেলে যে কেউ বুঝে শুনে ঘাটাবে। এমন লেভেলে কখনোই ঘাটাবে না যা পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। কারণ পরমাণু যুদ্ধে গেলে সে উভয় দেশের ধ্বংস নিশ্চিত করবে। এটাকে বলা হয় MAD=Mutually Assured Destruction বা উভয় পক্ষের নিশ্চিত বিনাশ।
এজন্যই কয়দিন পরপর ভারত-পাকিস্তান গেঞ্জাম বাধলেও তড়িঘড়ি তারা সেটা সলভ করে ফেলে। মোদির ভোটের জন্য হোক বা ইমেজ সঙ্কট কাটানোর জন্য, কয়টা পটকা-টটকা মেরে তারপর অফ যায়। দরকার হইলে আমেরিকার পায়ে ধইরা হইলেও ঝামেলা মিটমাট করে।
এটাই পরমাণু অস্ত্রের ইউজ। পরমাণু অস্ত্র কখনো বাস্তব জীবনে ইউজের জন্য না। যদি না সেটা আমেরিকা কিংবা ইজরাইলের মত অসভ্য রাষ্ট্র হয়।
ফলে ইরানের পরমাণুও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত, কিংবা উত্তর কোরিয়ার মত নিজ বিপ্লব সুরক্ষার হাতিয়ার।

নয়—
যদি ইরান-ইজরাইল যুদ্ধের একটা সম্মানজনক বিহিত করা যায়, তাহলে আগামী নির্বাচনে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যত টিকে না গেলেও ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে গেল। নির্বাচনে ফাইট দেওয়ার মত একটা পয়েন্ট তৈরি হল।
গাযার ব্যর্থতা এই ইস্যু দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার একটা সুযোগ তার সামনে চলে আসবে।

লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে গৃহীত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top