মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টিকে ‘প্রতীকী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ-এর ক্রিটিক্যাল সিকিউরিটি স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহানাদ সেলুম।
তার মতে, এই হামলার মূল তাৎপর্য হচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরাকের বাইরে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে এটিই প্রথম ইরানি হামলা। অতীতে ইরান ইরাকেই এমন হামলা চালিয়ে এসেছে এবং ২০০৩ সাল থেকে দেশটি কার্যত যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সেলুমের ভাষায়, এ ধরনের হামলা এখন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন কাতারের মতো একটি তৃতীয় দেশ আক্রমণের লক্ষ্য হওয়ায় এটি ইরাকের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আল উদেইদ ঘাঁটিতে কেবল মার্কিন সেনা নয়, কাতারিরাও অবস্থান করছিল, যদিও হামলার আগে ঘাঁটি খালি করা হয়েছিল।
সেলুমের তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরান আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্র এবং সম্ভবত কাতারকে হামলার ব্যাপারে অবহিত করেছিল এবং পুরো আক্রমণটি ছিল মূলত প্রতীকী।
তিনি আরো বলেন, এই উত্তেজনা এখন দুটি পথে যেতে পারে। এক, ইরান এটিকে মুখ রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে তুলে ধরে আলোচনায় বসতে চাইতে পারে। দুই, এটি আরো তীব্র রূপ নিতে পারে – যা হবে অত্যন্ত বিপজ্জনক – কারণ যুক্তরাষ্ট্র তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে চলমান আক্রমণের কঠোর জবাব দেবে।”
সূত্র : আল জাজিরা