গাজার ৭০ শতাংশের বেশি স্কুল ইসরাইলি হামলার শিকার

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর লাগাতার আক্রমণে গাজার ৭০ শতাংশের বেশি স্কুল ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি। এ সময় গাজার প্রায় ৮৮ শতাংশ স্কুলের পুনর্গঠন বা বড় ধরনের পুনর্বাসনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

গাজার ৭০ শতাংশের বেশি স্কুল ইসরাইলি হামলার শিকার

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার ৭০ শতাংশের বেশি স্কুল ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সংস্থাটির নিজস্ব ১৬২টি স্কুল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো এক সময় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শিশুদের শিক্ষা দিতো।

সংস্থাটি দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, গাজার ওপর চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন লাখো শিশুকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদেরকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।

এ সময় শিশুদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএনআরডব্লিউএ।

সংস্থাটি দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, গাজার ওপর চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন লাখো শিশুকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদেরকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আত্মসমর্পণের শর্ত দিলো ইসরাইল

এ সময় শিশুদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএনআরডব্লিউএ।

যেভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হয়
উল্লেখ্য, ১৮ মার্চ ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় আবারো এক মারাত্মক সামরিক আক্রমণ চালায়। এর মধ্য দিয়ে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে ফেলা হয়।

গাজায় নিহতের সংখ্যা

জাতিসঙ্ঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই নারী ও শিশু।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

এছাড়া, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

অন্যদিকে, ইসরাইল বর্তমানে গাজায় সংঘটিত এই যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।

‘গাজার ৭০ শতাংশের বেশি স্কুল ইসরাইলি হামলার শিকার’ প্রতিবেদনটি মিডল ইস্ট মনিটর থেকে অনুদিত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top