টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
ইসরাইলের বাধায় পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল করা হয়েছে। শনিবার তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফাকে অধিকৃত পশ্চিমতীরের কয়েকটি শহর ও গ্রাম পরিদর্শনের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই স্থানগুলো বারবার অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।
উপনিবেশকরণ, প্রাচীর ও প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান মুয়ায়েদ শাবান আনাদোলুকে জানান, রামাল্লাহর পূর্বের বুরকা ও দেইর দিবওয়ান এবং নাবলুসের দক্ষিণে দুমা ও কুসরা গ্রামে প্রধানমন্ত্রী মুস্তফার সফরের পরিকল্পনা ছিল। এই সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় চেয়ে আবেদন করা হলেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই এলাকাগুলোতে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ধারাবাহিক আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা বা উপস্থিতিরও প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা এই আক্রমণগুলোর তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে।
শাবান আরো বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের মধ্যে পূর্ববর্তী চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের চলাচলে সমন্বয় আবশ্যক। বিশেষ করে তাদের সাথে প্রতিরক্ষামূলক নিরাপত্তা বাহিনী থাকার কারণে। তবে ইসরাইল এই সমন্বয় প্রত্যাখ্যান করেছে। এটি একটি বিপজ্জনক নজির।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত সফরের আগে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা তার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচারণা শুরু করে। এই প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি সরকার এই সফরের অনুমতি বাতিল করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ অধিকৃত পশ্চিমতীরে ১৮০টি স্থায়ী বসতি এবং ২৫৬টি ফাঁড়ি গড়ে উঠেছে। এসব বসতিতে আনুমানিক ৭ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে। এর মধ্যে ১৩৮টি কৃষি ও পশুপালন ফাঁড়ি রয়েছে।
ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমতীরে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমতীরে কমপক্ষে ৯৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭ হাজারজনেরও বেশি আহত হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এক ঐতিহাসিক রায়ে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী দখলকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমে গড়ে ওঠা সব ইসরাইলি বসতি খালি করার দাবি জানায়।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
মাশাল্লাহ