টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগকে আরো গভীর করে তুলছে। যুদ্ধবিরতির আহ্বান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন প্রচেষ্টার মধ্যেও ইসরাইল অব্যাহতভাবে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনে মার্চ ও এপ্রিল মাসজুড়ে সংঘটিত প্রধান ঘটনাগুলোর একটি ধারাবাহিক বিবরণ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা গাজা সঙ্কটের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে।
ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান : গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর ধারাবাহিকতা
২ মার্চ : জানুয়ারিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে গৃহীত যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী পরিবর্তনের দাবি হামাস প্রত্যাখ্যানের পর ইসরাইল গাজায় সব ধরনের সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।
৫ মার্চ : ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় মিসরের উদ্যোগে আরব নেতারা গাজার পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
১৫ মার্চ : লোহিত সাগরে ইসরাইল-সংযুক্ত জাহাজে হাউছিদের পুনরায় হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫৩ জনকে হত্যা করে।
১৮ মার্চ : ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায়। এতে একদিনেই ৪০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন; নিহতদের অধিকাংশই শিশু।
২৩ মার্চ : দক্ষিণ গাজায় আহত বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টাকালে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৫ জন জরুরি কর্মী প্রাণ হারান।
১ এপ্রিল : ময়দা ও রান্নার গ্যাসের তীব্র সঙ্কটের কারণে গাজায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) তাদের সব বেকারি বন্ধ করে দেয়।
১২ এপ্রিল : ইসরাইলি সেনাবাহিনী মোরাগ করিডোর নির্মাণ সম্পন্নের ঘোষণা দেয়। ফলে রাফা শহর গাজার বাকি অংশ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১৯ এপ্রিল : হামাস অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধ বন্ধের জোরালো আহ্বান জানালে নেতানিয়াহু ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে গাজায় হামলা আরো জোরদারের নির্দেশ দেন।
২৫ এপ্রিল : বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায় যে গাজায় তাদের সব খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে গেছে।
সূত্র: আল জাজিরা