টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরাইলে ১৩ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরপরই সাইরেন বাজানো হয়, যার ফলে লোকজন দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নেসেট (ইসরাইলি পার্লামেন্ট) থেকে সরিয়ে একটি সুরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তিনি ২০২৫ সালের বাজেট আইনসংক্রান্ত ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এর আগে, ইসরাইলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছিল যে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে তেল আবিব, জেরুজালেম এবং মধ্য ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বাজানো হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলি সীমান্ত অতিক্রম করার পর তা ধ্বংস করা হয়। এতে আরও জানানো হয়েছে যে, তেল আবিবে সাইরেন বাজানোর পর লন্ডন থেকে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে আসা একটি বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়।
ইয়েমেনের আনসার আল্লাহ (হুথি) গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, “ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী অধিকৃত জাফা অঞ্চলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে একটি গুণগত সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে, যেখানে প্যালেস্টাইন ২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। এই অভিযান সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরাইলি বিমান হামলা আমাদের হামলা বন্ধ করতে পারবে না। আমরা ইসরাইলি নৌযান চলাচল রোধ করব এবং গাজার জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখব যতক্ষণ না আগ্রাসন বন্ধ হয় এবং অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।”
ইসরাইলি সামরিক সূত্র বলছে, হুথিরা মাঝেমধ্যেই ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে থাকে, বিশেষ করে তেল আবিবকে লক্ষ্য করে। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ইয়েমেনি গোষ্ঠীর সামরিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়। ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হুথিরা তাদের হামলা বন্ধ করেছিল।
সূত্র : আল জাজিরা