দিপ্র হাসান
সেই ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজের পতনের পর থেকে এই দেশে ইসলামপন্থা নির্যাতনের শিকার। ১৯৪৭ সালে যেই পাকিস্তান কায়েম হইছিল সেইটাও ছিল সেকুলার পাকিস্তান। ২৪ এর স্বাধীনতার নেতৃত্ব ইসলামপন্থীরা দিলেও দেশ সিরিয়া হইয়া যাবে আফগান হইয়া যাবে ইত্যাদি ইসলাম বিদ্বেষী কথা ছড়ায়া ইসলামপন্থীদের ক্ষমতা থিকা দূরে রাখা হইছে।
ইসলাম বিদ্বেষ কতদূর গেলে ধর্ম উপদেষ্টা ছাড়া আর কোন উপদেষ্টার পদ ইসলামপন্থীদের দেয়া হয় না ভাবেন একবার। আরও অবাক করা ব্যাপার হইল, এইটা নিয়া ইসলামপন্থীদের কোনও বার্গেনিংও ছিল না। কেন ছিল না? কারণ এরা বুঝতেও পারে না একজন স্বীকৃত ইসলামবিরোধীর হাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকলে ইসলামের কি ক্ষতি! তাদেরকে শুধু এই কথাই বুঝানো হয়, আর কোথাও বসার মত যোগ্য ইসলামিস্ট নাই।
আপনারা আজকে বলতেছেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জুলাই নিয়া কিছু হয়নি কেন? সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়া আসিফ নজরুল এবং বর্তমান ফারুকি কখনোই জুলাইকে ওউন করে না। জুলাইকে ওউন করলে এই দশ মাসে বাংলাদেশের কালাচারল অঙ্গনের খোল নলচে পাল্টায়া ফেলা যাইত। কিন্তু তারা তা করবে কেন? যেই পোলার পুরা নাটকের ইউনিট অলটাইম গাঞ্জায় ডুইবা থাকে সেই পোলা কালচারাল অঙ্গনের সংস্কার কইরা নিজের পায়ে কুড়াল মারব নাকি?
শুধু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দোষ দিয়া কি লাভ? ছাত্ররা তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়া সেইখানে কি চেঞ্জ আনতে পারছে? ফ্যাসিবাদকে সেইখান থেকে সরাইছে? তাদের আসলে ফ্যাসিবাদের চেয়েও বড় ভয় ইসলামকে। ফ্যাসিবাদকে সরালে যদি ইসলাম চলে আসে সেই ভয়ে মিডিয়ায় এখনও ফ্যাসিকীর্তন করা হচ্ছে।
আজ একজন নির্মাতাকে বললাম, জুলাই নিয়া কিছু বানাইলা না কেন? ও বলল, কে কিনবে? কেন কিনবে? প্রতিটা বড় চ্যানেলে আগেও মদ ও মাগিবাজির দৌলতে নাটক বেচা লাগত এখনও তাই লাগতেছে। তারা কেন আপনার জুলাইকে প্রমোট করবে। তারা তো হাসিনার সন্তান।
সুতরাং জুলাই আমাদেরকে শুধুই একজন শাসকের পরিবর্তে অন্য একজন শাসক দিচ্ছে। আর কিছু নয়। আর এই কারণেই আবারও জুলাই আসবে। সেই জুলাইয়ে মানুষ এবারের মত অন্ধভাবে ইসলাম বিদ্বেষীদের উপর আস্থা রাখবে না। তখন ইসলামপন্থীরা নিজেদের হিস্যা বুঝে নিবে।
এভাবেই মানুষ ইসলামপন্থায় ফিরে আসবে। ফিরে আসতেই হবে। নইলে এই অঞ্চলের মুসলমানদের মুক্তি আসবে না।
লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে গৃহীত