ইসলামপন্থীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের লড়াইয়ের মুল প্রাণশক্তি ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। শনিবার (১১ মে) রাতে ফেসবুকের এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে পিনাকী বলেন, ‘ইসলামপন্থীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের লড়াইয়ের মুল প্রাণশক্তি ছিলো। এটা যেন আমরা ভুলে না যাই। উনাদের মোবারকবাদ।’
এ বিষয়ে কওমি ঘরানার অ্যাক্টিভিস্ট মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমার দেখা মতে, শাহবাগের আজকের জনসমাগমে মোটাদাগে ৩টা ভাগ ছিল। একটা সেন্ট্রাল মাইকের অধীন অস্থায়ী স্টেজের সামনের মানুষজন আর স্টেজ থেকে ডানে ও বামে দুইটা আলাদা বলয়। বামেরটা ছিল মেইনলি জাশির ভাইদের। আর ডানেরটা ছিল মেইনলি অরাজনৈতিক দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদের। এই দুইটা বলায় নিজেদের মতো করে কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। এর বাইরে ইসলামপন্থীদের ছোট ছোট আরো কিছু গ্রুপও ছিল বিক্ষিপ্তভাবে। মূল স্টেজের সামনে যারা ছিল তাদের মধ্যেও আবার ইসলামী আন্দোলন-হেফাজত-খেলাফত প্রমুখ দলের অনেক কর্মী-সমর্থন ছিল। সবমিলিয়ে বলা যায়, এনসিপির বাইরের এই লোকজনই শাহবাগ চত্ত্বরকে মাতিয়ে রেখেছিল।
তিনি আরো বলেন, এটা দৃঢ়ভাবে বলা যায়, এনসিপি যদি এটা দলীয়ভাবে আহ্বান করত, তাহলে সীমিত কিছু মানুষের বাইরে আর কাউকে তারা পেত না। অথচ আজকের গণজমায়েতে উপস্থিত সবাই এমন মানুষজন, যারা জুলাইকে ধারণ করে৷ জুলাইকে বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছিল৷
এই অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, সেই বিবেচনায় হবার কথা ছিল এমন যে, এরা সবাই বা অধিকাংশ এনসিপিকে সমর্থন দিবে। কিন্তু তা হয়নি। শুধু যে হয়নি এতটুকুই নয়, বরং খুব বাজেভাবে তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা জুলাইকে ধারণকারী মানুষজনের কাছে ড্রপ করেছে। এই আন্দোলনের ভেতর দিয়ে আশা করি এনসিপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নীতিনির্ধারকেরা তাদের দলের এই অধঃপতিত অবস্থার বিষয়টা চাক্ষুষ ও হাতেনাতে অনুধাবন করবেন। জুলাইকে ধারণকারী মানুষজনের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কেন এমন তলানিতে এসে ঠেকল, এটা নিয়েও তারা ভাববেন এবং আগামীর কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই আন্দোলন যেমন জুলাইর সকল পক্ষের সম্মিলিত আয়োজন ছিল, এনসিপিকে মূলত আমরা এমন সবপক্ষকে ধারণকারী ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা সেভাবে সবাইকে ধারণকারী দল হয়ে উঠতে পারেনি একেবারে শুরু থেকে। যার অনিবার্য পরিণত এখন চোখের সামনে।
ডানপন্থীদের মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, মনে রাখবেন, ডানপন্থীদের/ইসলামপন্থীদের বাদ দিয়ে বা অবমূল্যায়ন করে এদেশে কখনোই দীর্ঘমেয়াদে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এটা তারা যত দ্রুত বুঝবে, তাদের জন্যই কল্যাণ।