টুডেনিউজ ডেস্ক
১. ন্যায়বিচার: শরিয়াভিত্তিক আদালত প্রতিষ্ঠা পাবে। নারী সেখানে জুলুমের ন্যায়সঙ্গত প্রতিকার পাবে, স্বামী জালেম হলে আদালত বিচ্ছেদের আদেশ দিতে পারবে—স্বামী রাজি না হলেও।
২. নারীবান্ধব পরিবেশ: নারী পাবেন আলাদা স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, শপিং ফ্লোর ও ট্রান্সপোর্ট। কর্মক্ষেত্র হবে নিরাপদ ও মানসিক চাপমুক্ত।
৩. সামাজিক নিরাপত্তা: বিধবা-দুস্থ নারীদের জন্য থাকবে রাষ্ট্রীয় ভাতা। ইসলামি সমাজ নারীর জন্য উপযুক্ত পরিবার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবে।
৪. উপযুক্ত কর্মব্যবস্থা: নারীদের শারীরিক-মানসিক বাস্তবতা অনুযায়ী কাজের সময় ও বেতন নির্ধারিত হবে। শিক্ষিত ও অবসরপ্রাপ্ত নারীদের জন্য থাকবে উচ্চশিক্ষা ও রাষ্ট্রীয় খেদমতের সুযোগ।
৫. পতিতাবৃত্তি নির্মূল: নারীকে হেয়কারী সব পেশা বন্ধ করে, সম্মানজনক জীবিকার ব্যবস্থা ও পুনর্বাসন করা হবে।
৬. সম্পত্তির অধিকার: নারীর অংশ ফরজ, ইসলামী শাসনে তা বাস্তবায়নে কোনো আপস হবে না।
৭. দ্রুত বিচার: যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের মতো অপরাধের দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির ফলে এসব ঘটনা নেমে আসবে শূন্যের কোটায়।
৮. হিজড়াদের মর্যাদা: যৌনপ্রতিবন্ধীদের সমাজের মূলধারায় এনে তাদের পেশা, উত্তরাধিকার ও বিবাহের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
৯. সম্মান ও নিরাপত্তা: নারীকে সমাজের সম্মান হিসেবে দেখা হবে। মুসলিম পুরুষরা নারীর সম্মান রক্ষায় রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকবে।
১০. শর্ত: এতসব পাওয়ার জন্য নারীর একটিই করণীয়—ইসলামের সামনে আত্মসমর্পণ, শরীয়াহর প্রতিষ্ঠায় আপসহীন থাকা। নারীবাদ থেকে ফিরে আসা, কারণ তা নারীর আসল রক্ষাকবচগুলোকে ঘৃণা করতে শেখায়।
শেষকথা: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দেওয়া অধিকারের চেয়ে বেশি কিছু কেউ দিতে পারে না। যত বাহারি কথাই হোক, ইসলামবিরোধী তথাকথিত অধিকার আসলে নারীর জন্য এক বিপজ্জনক ফাঁদ।