টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
সংখ্যাধিক্যের বলে উভয় কক্ষে পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল। ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিযোগ করা হয়েছিল আগেই। এবার সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে যাওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা জানালো হাতশিবির। তামিলনাড়ুর ডিএমকে-র পর সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘কংগ্রেস খুব শিগগির ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪-এর সাংবিধানিকতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং ভারতের সংবিধানে থাকা নীতি, বিধান এবং অনুশীলনের উপর মোদি সরকারের সকল আক্রমণ প্রতিহত করব।
এদিন রামেশ আরো লেখেন, তথ্য জানার অধিকার আইন, সুপ্রিম কোর্টে ২০০৫ এর ২০১৯ সালের সংশোধনী নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানি এখনো জারি রয়েছে। ২০২৪ সালে নির্বাচনী বিধি সংস্কারের বৈধতা নিয়েও শীর্ষ আদালতে দরজায় কড়া নাড়ে ‘হাত’। একইভাবে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল নিয়ে সুপ্রিম দ্বারস্থ হবে কংগ্রেস।
ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বিল। এই বিলটি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। বলাবাহুল্য, টানা ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন আলোচনার পর বুধবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ বিল। একইভাবে দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও ১২৮-৯৫ ভোটে পাশ হয় সংশ্লিষ্ট বিলটি। তবে নয়া বিলে ওয়াকফ কাউন্সিলে এই প্রথম দু’জন অমুসলিমকে স্থান দেয়ার কথা বলা হয়েছে, যা মুসলিমদের স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণের পরিপন্থী।
একদিকে বিরোধী দলগুলো এই বিলটিকে মুসলিমবিরোধী এবং অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে সরকারের যুক্তি এই ঐতিহাসিক সংস্কার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য উপকারী হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার, পুবের কলম ও অন্যান্য




