কওমি সনদের কার্যকরকরণে মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে বৈঠক করেছেন আল-হাইআতুল উলয়ার প্রতিনিধি দল। সোমবার দুপুর ২টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
নয় সদস্যবিশিষ্ট ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন হাইয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান। এ সময় তারা কওমি সনদে সরকারি-বেসরকারি কর্মক্ষেত্রগুলোতে চাকরির সুযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের আহ্বান জানান।
হাইয়ার প্রতিনিধি দল বিশেষভাবে কয়েকটি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ প্রদানের জন্য আহ্বান জানান। ক্ষেত্রগুলো হলো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষক পদে নিয়োগদান; ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগদান; মডেল মসজিদসহ সরকারি মসজিদ এবং সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের মসজিদের ইমাম ও খতিব পদে নিয়োগদান; সামরিক, আধাসামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীতে ধর্মীয় শিক্ষক পদে নিয়োগদান; জেলখানার ধর্মীয় শিক্ষক পদে নিয়োগদান; মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদ।
যেসব সেক্টরে অবদান রাখতে পারে কওমি ছাত্ররা
এছাড়া তারা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি’ বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি করার এবং ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি’ ব্যতীত অন্য যেকোনো বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ প্রদানেরও আহ্বান জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন হাইয়ার এসব প্রস্তাবনাগুলোকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখার উপর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। একইসাথে কওমি মাদরাসাগুলোকে সব ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে সভায় দারুল উলূম দেওবন্দের আট মূলনীতি কঠোরভাবে পালনের উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়।
কওমি সনদ বাস্তবায়নের দাবি উঠলে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ধর্ম উপদেষ্টার
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুছলেহ উদ্দিন রাজু, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুফতি মোহাম্মাদ আলী এবং মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরীদী।