কাশ্মিরে হামলা

কাশ্মিরে হামলা : কলকাতা ডিজিটাল মিডিয়া ফেডারেশনের কো-ফাউন্ডারের ৯ অভিযোগ

সাম্প্রতিক কাশ্মিরে হামলা নিয়ে কলকাতার Digital Media Federation – D.M.F এর কো-ফাউন্ডার Dipak Bepari মোদি প্রশাসনকে লক্ষ্য করে নয়টি অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এ প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন যে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণরূপে মোদি সরকারের সাজানো নাটক।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের একটি পোস্টে ওই অভিযোগগুলো তুলে ধরেন তিনি।

কাশ্মিরে হামলা নিয়ে যত অভিযোগ

ফেসবুক পোস্টে দীপক বেপারি বলেন, এতো ন্যাকামো না করে বিজেপি সরকারকে প্রশ্ন করুন। প্রশ্ন করবেন কিভাবে? সেটা করতে তো মাথার মধ্যে একটা মগজ লাগে। আবার বুকের মধ্যে একটা হৃদপিন্ড লাগে। যাহোক যে প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে আপাতত সেগুলো নিয়েই চর্চা হোক।

১। কাশ্মীরে বর্তমানে ৬ লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। ৫০ মিটার পর পর এক একজন সেনা অত্যাধুনিক হাতিয়ার নিয়ে সজাগ থাকেন। প্রতি দশ জন কাশ্মীরির পিছনে একজন সেনা বরাদ্দ। কিন্তু সেদিন পেহেলগাঁও এ সেনা ছিল না কেন?

২। পেহেলগাঁও একটি পর্যটকপূর্ণ স্থান। সেখান থেকে সেনা বা পুলিশ তুলে নেওয়ার আদেশ কে দিয়েছিলো?

৩। ঠিক ঐ সময়ে সেখানে কোনো সেনা থাকবে না এটা জঙ্গিরা জানলো কিভাবে?

৪। জঙ্গিরা সেখানে এক ঘন্টা ধরে হত্যা লীলা চালালো। পুলিশ কিংবা সেনা সেখানে পৌঁছতে পারলোনা কেন?

৫। LOC থেকে পেহেলগাঁও এর দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিমি। গোয়েন্দা, সেনা, BSF, পুলিশ সবাইকে ফাঁকি দিয়ে এতো দুর পথ অতিক্রম করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা সেখানে পৌঁছলো কিভাবে?

৬। ১৯শে এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফর বাতিল করা হলো কেন? তার মানে, তিনি জানতেন কাশ্মীরে কিছু ঘটতে যাচ্ছে? তারপরেও কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নিলো না কেন?

৭। পুলওয়ামা ঘটনা ঘটানোর আগে সেখানে চেকপোস্ট তুলে দেওয়া হয়েছিল যেন কোনো গাড়ির তল্লাশি না করা হয়। এখানেও তেমন কিছু করা হয়নি তো?

৮। জঙ্গিরা নাকি বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা করেছে। নারী এবং শিশুদের ছাড় দিয়েছে। জঙ্গিরা এতো দয়ালু হয় কিভাবে? জঙ্গি হানায় জঙ্গিরা কী এতো সময় পায়?

৯। কাশ্মীরে এটা কী প্রথম জঙ্গি হামলা? আমি তো জানি ১৯৪৭ সাল থেকে সেখানে জঙ্গি আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং প্রায় ১ লাখ কাশ্মীরি মানুষ সেখানে নিহত হয়েছে তার মধ্যে মুসলমান হিন্দু সবাই আছে। এমনকি জঙ্গি দমন করতে গিয়ে প্রচুর সংখ্যক সেনাও শহীদ হয়েছে। কীসের জন্য জঙ্গিরা লড়াই করছে সেটা আলাদা প্রশ্ন কিন্তু এই ঘটনাকে থেকে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে কেন?

তাহলে কী কাশ্মিরে হামলা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড?

যে যাই বলুক এই হত্যাকাণ্ডকে মেনে নেওয়া যায় না, তাকে কোনোপ্রকার ভাবে জাস্টিফাই করা যায় না। একযোগে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কিন্তু অনুরোধ হিন্দু মুসলিম করবেন না। বিজেপি সরকার অপরাধীদের বের করে যেদিন তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবে, সেদিন আমি বিজেপির প্রশংসা করবো।

Dipak Bepari এর ফেসবুক থেকে নেয়া

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top