ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের কারণে ২ লাখ ফিলিস্তিনি মৃত্যুমুখে রয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
মিডল ইস্ট মনিটরে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। ইসরাইলি বাহিনী সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের কারণে ২ লাখ ফিলিস্তিনি মৃত্যুমুখে রয়েছে। এই পরিস্থিতি উপত্যকাজুড়ে হাসপাতালগুলোর কার্যকারিতাকেও গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে।
মধ্য গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল-দাকরান গাজার সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি শুক্রবার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ‘দখলদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করছে।’
তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি বাহিনী সরাসরি হামলা চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে। এতে শিশুরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
ইসরাইলি হামলায় রাফার ৯০ শতাংশ আবাসিক এলাকা ধ্বংস
এই সপ্তাহের শুরুতে গাজার ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক ডা. মারওয়ান আল-হামস জানান, গোটা অঞ্চলজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে ওষুধ এবং চিকিৎসাসামগ্রীর সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে। ইসরাইলি বাহিনী ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।’
আল-হামস আরো জানান, চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। চলমান বিমান হামলা এবং তীব্র বোমাবর্ষণের কারণে হাসপাতালগুলো আর আহতদের ভর্তি করতে পারছে না। জরুরি ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলোও সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত।’
এহেন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদেরকে ট্রাইএজ প্রোটোকল বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাদের চিকিৎসা করা হচ্ছে যাদের জীবন বাঁচানো এখনো সম্ভব। অন্যদের কোনো চিকিৎসা না দিয়েই ফেলে রাখতে হচ্ছে।
আল-হামস একে চিকিৎসকদেরকে দখলদারর অধীনে নিতে বাধ্য করা সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি বলে অভিহিত করেছেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
গাজার ৭০ শতাংশের বেশি স্কুল ইসরাইলি হামলার শিকার
স্মোট্রিচের হুমকি : ‘এক দানা গমও গাজায় প্রবেশ করবে না’