গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিলো ১ লাখ ৪০ হাজার ইসরাইলি। শনিবার (১৯ এপ্রিল) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরাইলে স্বাক্ষরদাতাদের সংখ্যা ১,৪০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই গণস্বাক্ষর অভিযানটি ‘পুনরুদ্ধারকৃত ইসরাইল’ নামক একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এটি দেশটির সমাজে যুদ্ধ নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ ও হতাশার প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরাইলের বড় শত্রু এখন নেতানিয়াহু
শনিবার পর্যন্ত এই আবেদনপত্রে মোট স্বাক্ষরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৮,৪৩৪, যা শুক্রবারের ১২৮,১১৪ থেকে প্রায় ১০,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচারণায় স্বাক্ষরকারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবেদনপত্রের সংখ্যা শুক্রবার যেখানে ছিল ৪৭টি, শনিবার তা বেড়ে ৫০টিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২১টি আবেদন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন অথবা সংরক্ষিত সদস্যদের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে।
ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’: নেতানিয়াহু, ট্রাম্প ও মোদির ছবিতে জুতা মেরে ক্ষোভ প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পূর্ব সতর্কবার্তার পরও, যেখানে তিনি যুদ্ধবিরোধী আবেদন সমর্থনকারীদের বরখাস্ত করার হুমকি দিয়েছিলেন, আরও বেশি সাবেক ও সক্রিয় সামরিক সদস্য এই উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছেন।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ১২৭,২৫৫ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১১,১৭৯ জন সামরিক সদস্য রয়েছেন। বেসামরিকদের মধ্যে ৭৩,৫৯৯ জন সাধারণ ইসরাইলি নাগরিক, ১,৫০০ জন সক্রিয় সৈন্যের পিতামাতা এবং ১,৩০০ জন নিহত সৈন্যদের আত্মীয়স্বজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
নেতানিয়াহুর মাধ্যমেই কি মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যবাদ পুনর্গঠন করবেন ট্রাম্প
এই আন্দোলন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ীতা ও সরকারের বন্দিমুক্তিতে ব্যর্থতা নিয়ে জনসাধারণের গভীর উদ্বেগকে তুলে ধরছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারি : নেতানিয়াহু কেন বারবার আদালতে হাজিরা দিচ্ছে