অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। তবে এবার বিবৃতির ভাষায় কঠোর শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। এই বিষয়টিকে কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য
পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সক্রিয় কূটনীতি ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আঘাত হেনেছে। কারণ পেহেলগাম হামলা নিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) বিবৃতিতে কঠোর ভাষা ব্যবহার করা হয়নি।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, এর আগে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর নিরাপত্তা পরিষদ যে কঠোর শব্দচয়ন করেছিল, এবারের বিবৃতিতে তার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।
এছাড়া ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে (আইআইওজেকে) পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে ভারতের নাম উল্লেখ না করে কেবল ‘সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের’ প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে বিবৃতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হলেও তা অনুমোদিত হতে পারেনি।
পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত
২২ এপ্রিলের হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। এর জবাবে ইসলামাবাদ ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্যের অংশ হিসেবে পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে কেবল বিতর্কিত শব্দের অন্তর্ভুক্তিই প্রতিরোধ করেনি। বরং ‘পহেলগাম’ শব্দের পরিবর্তে ‘জম্মু ও কাশ্মির’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। নয়াদিল্লি যেখানে এ অঞ্চলকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল, পাকিস্তান সে প্রচেষ্টা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
ভারত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হলেও জাতিসঙ্ঘের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তারা পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে।
এছাড়া, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও ভারতকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের এক কর্মকর্তা।
সূত্র : দ্য নিউজ