টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি ও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে। বামপন্থী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কর্তৃত্ববাদী বাড়াবাড়ি ও কোটিপতি-সমর্থিত এজেন্ডা‘র বিরুদ্ধে ৫ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিক্ষোভ হবে ডিসি, ফ্লোরিডা ও অন্যান্য শহরে।
‘হ্যান্ডস অফ’ নামে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দেয়া হয়েছে। মুভঅনসহ বহু প্রগতিশীল সংগঠন এতে অংশ নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
ইনডিভাইসিবলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেছেন, ‘এটি সাম্প্রতিক আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একদিনের বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে।’
সবচেয়ে বড় সমাবেশটি হবে ডিসির ন্যাশনাল মলে। সেখানে কংগ্রেস সদস্য জেমি রাসকিন, ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট ও ইলহান ওমর বক্তব্য দেবেন।
প্রতিবাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘এটি আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে নির্লজ্জ ক্ষমতা দখল ঠেকাতে একটি দেশব্যাপী সমাবেশ। ট্রাম্প ও তার কোটিপতি বন্ধুরা আমাদের সরকার, অর্থনীতি ও মৌলিক অধিকারের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। কংগ্রেস তা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।’
তারা সামাজিক নিরাপত্তা অফিস বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, ভোক্তা সুরক্ষা বাতিল ও মেডিকেড ধ্বংস করতে চায়- সবই ধনীদের করছাড়ের খরচ চালানোর জন্য। তাদের লক্ষ্য করের টাকা, সরকারি সেবা ও গণতন্ত্র ধনীদের হাতে তুলে দেয়া। এখনই লড়াই না করলে রক্ষা করার মতো কিছুই থাকবে না।
ট্রাম্পের ১ এপ্রিলের শুল্ক ঘোষণার পর এই সপ্তাহে শেয়ার বাজারে ধস নামে। অর্থনৈতিক সঙ্কট সত্ত্বেও ট্রাম্প বলেন, ‘আমার নীতিতে পরিবর্তন আসবে না।’
রয়টার্সের জরিপ অনুযায়ী, এই সপ্তাহে ট্রাম্পের অনুমোদনের হার ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে- ক্ষমতা গ্রহণের পর যা সর্বনিম্ন।
২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর, অন্তত ৪.৭ লাখ মানুষ ডিসিতে নারী মার্চে অংশ নিয়েছিল। শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া জনতার তিনগুণ মানুষ সেদিন প্রতিবাদ করেছিল। আরো লক্ষ লক্ষ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়। এটি তখনকার সবচেয়ে বড় একদিনের বিক্ষোভ ছিল।
সূত্র : গার্ডিয়ান