জন্মহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা

ট্রাম্পের ৯০ দিনের বিরতি : কৌশলগত পশ্চাদপসরণ নাকি আলোচনার কৌশল?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার দিনেই তিনি এই ঘোষণা দেন। তার এই পদক্ষেপে বিশেষ প্রশ্ন উঠেছে— এটি কি কৌশলগত পশ্চাদপসরণ নাকি ট্রাম্পের আলোচনার নতুন কৌশল?

ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল: আলোচনার নতুন উদ্যোগ

হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, এটি ছিল তাদের পরিকল্পিত কৌশল, যাতে আলাদা আলাদা দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সহজ হয়। মার্কিন ট्रेजারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৭৫টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্যে কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মেক্সিকো এবং কানাডা— এই দেশগুলোর বিষয়ে কিছুই স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। ট্রাম্প নিজে তার সামাজিক মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যাল-এ কেবল আশ্বস্ত করেছেন, “শান্ত হও!”

এটি কি কৌশলগত পশ্চাদপসরণ?

ডেমোক্র্যাটরা এই পদক্ষেপকে ট্রাম্পের বিশৃঙ্খলা হিসেবে দেখছেন। সিনেটর চাক শুমার বলেছেন, “এই প্রেসিডেন্ট বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশ চালান। তিনি এখন দিশেহারা, পিছু হটছেন— এটাই ভালো খবর।”

নতুন শুল্ক আরোপের পথে ট্রাম্প

এদিকে, ট্রাম্প আবারও চীনএর ওপর নতুন শুল্ক চাপিয়েছেন। তিনি চীনের প্রতি ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছেন, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। তবে, এই পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসনের চীনবিরোধী নীতিএর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে চীনের আধিপত্য রোধ করাই মূল লক্ষ্য।

৯০ দিনের বিরতি: ট্রাম্পের নতুন কৌশল বা আরেকটি নাটক?

এখন প্রশ্ন হলো, ৯০ দিনের বিরতি শেষে কি আবারো ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে অর্থনৈতিক নাটক বা অনিশ্চয়তা ফিরে আসবে? এমনকি, ট্রাম্পের বাণিজ্য কৌশল সফল হবে কিনা, সেটা অনেকটা নির্ভর করবে তার ভবিষ্যত পদক্ষেপের ওপর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top