সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন এবং এক আত্মঘোষিত সমকামী ব্যক্তিকে আবাসিক সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগের ঘোষণায় দেশের বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এই নিয়োগ দেশের ধর্মীয় চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত এবং এটি পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা জাতিসঙ্ঘের পদক্ষেপ বাতিল ও সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাগ্রিমো প্রত্যাখানের দাবি জানান।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিচারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সঙ্কটকালীন সময়ে ইউএনএইচআরসি কার্যালয় স্থাপন রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের হুমকি এবং বিদেশী হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, সমকামিতা, মুসলিম পারিবারিক আইনের বিরোধিতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়দান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। তাই এই অনুমোদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সঠিক হয়নি।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ জাতিসঙ্ঘকে ‘মুসলিম নিধন সঙ্ঘ’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, মুসলিম দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে তারা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালায়।
সবশেষে ইসলামী দলসমূহ এই পদক্ষেপকে দেশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় চেতনা ও সামাজিক শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এবং বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।