টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী রোববার বলেছেন, চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। তার বক্তব্য ভারত আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তার প্রতিফলন ঘটায়।
দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তন এবং সম্পদ নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার সাথে সাথে আফ্রিকাকে ভবিষ্যতের শক্তিকেন্দ্র হিসেবে দেখা উচিত। ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি, নরম শক্তি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির কারণে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ থাকবে। যদিও ভারত বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভূমি এবং ভূ-কৌশলগত অবস্থানধারী; তবুও এটি তুলনামূলকভাবে নিম্ন বৈশ্বিক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ব্রিকসও সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। শক্তিশালী মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) কার্যক্রমের উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখার আহ্বান জানান।
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন প্রতিরোধের নতুন মুদ্রা হিসেবে কাজ করছে এবং তথ্য বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন মূলধনে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা হলো যুদ্ধ পরিচালনা এবং যুদ্ধ প্রতিরোধের ক্ষমতা। সুস্থ সামরিক-বেসামরিক সংমিশ্রণ, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি, জাতীয় স্তরে দ্বৈত-ব্যবহারের সম্পদ, সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নাগরিক যোদ্ধাদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখন প্রতিরোধের নতুন মুদ্রায় পরিণত হয়েছে এবং তথ্য বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন মূলধনে রূপ নিয়েছে।
এছাড়া তিনি উপনিবেশবিরোধী মিত্রদের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন যে তারা বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার সমর্থক এবং জাতিগুলোর একত্রিত হওয়া সঙ্ঘাত প্রতিরোধে সহায়ক।
সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস