নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে এনসিপির অবস্থান স্পষ্টকরণকে দলটির হঠকারিতা ও বৈষম্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে দেখছেন কওমি বুদ্ধিজীবী ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট আশরাফুল হক।
সোমবার (৫ মে) নিজের ফেসবুকের এক পোস্টে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
আশরাফুল হক ফেসবুক পোস্টে বলেন, নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে এনসিপি যে অবস্থান জানিয়েছে, তা হঠকারিতা ও বৈষম্যপূর্ণ। কিভাবে? ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে আলোচনার কথা বলেছে। অপরদিকে বিভিন্ন সংগঠনের স্টেজ থেকে প্রদত্ত হেইট স্পিসকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা জানানোকে সমর্থন করি। লাগামহীন বক্তব্য এই জাতির কপালে বিগত দিনেও দুর্দশা এনেছে, সামনেও আনবে। কিন্তু এনসিপি যেখানে উদ্বেগ ও আলোচনার কথা বলেছে, সেখানে তীব্র নিন্দা জানায়নি কেন? সেটা কি তীব্র নিন্দাযোগ্য কাজ নয়?
এনসিপির আরেকটি অসংলগ্ন আচরণের দিকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে ঘটে গিয়েছে আরেক ঘটনা। হেফাজতের কোন কোন নেতাকে নাকি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে। পাঠানো পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু সেই নোটিশের ভাষা খোদ নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করছে। এক হেইট স্পিসকে নোটিশ করতে গিয়ে নিয়েছে মিথ্যা ও চাতুর্যের আশ্রয়। তবুও মানলাম। কিন্তু দেশকে গভীর সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেওয়া এবং সকল ধর্ম ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে বালখিল্য করা নারী কমিশনকে তারা নোটিশ করতে পারবে? সেই গাটস ও আদর্শ তাদের নেই।
দলটিকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে আশরাফুল হক বলেন, এনসিপির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় সদস্য বাম ঘরানা থেকে ইনপুট হয়েছে। এই এনসিপিকে নিয়ে এখনও রঙিন স্বপ্ন দেখছে একদল আলেম। তাদের যেদিন শুভবুদ্ধি হবে, সেদিন মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না।
শেষে এনসিপিতে থাকা আলেমগণ ব্যবহৃত না হয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠুক বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।