ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, প্রযুক্তি কোম্পানি,

যুক্তরাষ্ট্রে আইনি বাধার মুখে ইনস্টাগ্রাম-টিকটক

নিউইয়র্কে চলন্ত সাবওয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ার সময় এক কিশোরের মৃত্যুর পর জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মালিক মেটা এবং বাইটড্যান্স-এর বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দিয়েছেন নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারক।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত কিশোর জ্যাকারির মা নর্মা নাজারিও দাবি করেছেন, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে ছড়িয়ে পড়া বিপজ্জনক ‘চ্যালেঞ্জ’ ভিডিওগুলোর কারণে তার ছেলে সাবওয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠার সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

ঘটনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জ্যাকারি ও তার বান্ধবী উইলিয়ামসবার্গ থেকে ব্রুকলিনগামী একটি ট্রেনের ছাদে ওঠেন। চলন্ত ট্রেনের ছাদে থাকা অবস্থায় জ্যাকারি ধাক্কা খেয়ে পড়ে মারা যান। পরে তার মা জ্যাকারির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সাবওয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ার মতো বিপজ্জনক ভিডিওর উপস্থিতি খুঁজে পান এবং মেটা ও বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

বিচারক পল গোয়েটজ শুক্রবার দেয়া রায়ে বলেন, মামলার বাদী হিসেবে নর্মা নাজারিও এই দু’টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন যে ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে প্রদর্শিত কনটেন্টই তার ছেলেকে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করেছে।

মেটা এবং বাইটড্যান্স উভয়েই এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেও তারা এই মৃত্যুর সাথে তাদের প্ল্যাটফর্মের কোনো সরাসরি সংযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, ফেডারেল কমিউনিকেশনস ডিসেন্সি অ্যাক্টের ধারা ২৩০ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধীনে তারা ব্যবহারকারীর তৈরি কনটেন্টের জন্য দায়ী নন।

যদিও এই রায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে সরাসরি দোষী সাব্যস্ত করে না। তবে এটি নর্মা নাজারিওকে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার দিয়েছে।

রয়টার্স নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ সূত্রে জানিয়েছে, চলন্ত ট্রেনের ছাদে চড়া বা ‘সাবওয়ে সার্ফিং’ এর মতো বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডে ইতোমধ্যে কমপক্ষে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এই মামলার পরিণতি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর দায়বদ্ধতা এবং ব্যবহারকারীর কনটেন্টসংক্রান্ত নীতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : আল জাজিরা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top