ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দেশটির শত্রু বলে অভিহিত করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান ড্যান হালুৎজ।
তিনি বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য একজনই শুধু সরাসরি হুমকি। আর তিনি হলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই শত্রুকে দমন করা উচিৎ। অথবা তাকে কারারুদ্ধ কিংবা হত্যা করা উচিৎ।
সম্প্রতি ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেল ১২-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন হালুৎজ।
গাজা যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব : ইসরাইলি সেনাপ্রধান
হালুৎজের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি। এক বিবৃতিতে দলটি জানায়, এটি ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গুরুতর উস্কানি। এটি প্রধানমন্ত্রীর হত্যার জন্য চরম বামপন্থীদের উৎসাহিত করে।’
লিকুদ পার্টির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আইডিএফ-এর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ চিফ অফ স্টাফ হলেন হালুৎজ। আর তিনিই এখন বলছেন যে নেতানিয়াহুই ইসরাইলের শত্রু। তাকেই তো বন্দী করা উচিত। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।’
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা মালদ্বীপের
এই বিতর্ক তখনই সামনে আসে যখন গাজা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে সাধরণ সৈনিক ও প্রবীণদের পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান আবেদন প্রকাশ পায়। এমন পরিস্থিতিতে হালুৎজের বক্তব্য আরো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে ১৮ মার্চ ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরাইলি নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ: এক সপ্তাহে ছয়টি বিদ্রোহমূলক বিবৃতি
গাজায় চলমান এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত নভেম্বরে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু এবং তার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। একইসাথে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে ইসরাইল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
নতুন করে আরো ৪ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত