টুডে ডেস্ক
সংখ্যাগরিষ্ঠের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী পৃথক শরিয়া কোর্ট প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অংশীদার সাধারণ আলেম সমাজ।
সোমবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
পৃথক শরিয়া কোর্ট না থাকাকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক সমতার লঙ্ঘন এবং মুসলিমদের সাথে গভীর বৈষম্য মনে করে জুলাই অন্যতম অংশীদার এই সংগঠনটি। তারা জানিয়েছে, ৫২ বছর ধরে ঔপনিবেশিক আইন ব্যবস্থায় বাঙালী মুসলমানরা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত। অন্তত পারিবারিক আইন, উত্তরাধিকার, বিবাহ-বিচ্ছেদ, দেনমোহরসহ মুসলিম পার্সোনাল ল’–তে শরিয়াভিত্তিক আদালত চালু না থাকা একটি গভীর বৈষম্য। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক সমতার লঙ্ঘন।
সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, সাধারণ আলেম সমাজের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, সংখ্যাগরিষ্ঠের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী পৃথক শরিয়া কোর্ট প্রতিষ্ঠা হতে হবে। যদি একচোখা নগরকেন্দ্রিক অভিজাত নারীবাদীরা তাদের দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে পারে, আমরাও শরিয়া কোর্ট প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামবো।
এই দাবিকে নিজেদের অধিকার, বিশ্বাস ও আত্মপরিচয়ের দাবি বলেও উল্লেখ করেছে সাধারণ আলেম সমাজ।
সংগঠনটি একটি স্বৈরাচার মতাদর্শিক গোষ্ঠী বারবার তাদের দাবিকে ‘অধিকার’ বলে রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে বলে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। এ সময় নারী কমিশনের প্রস্তাবনা ও নারী মৈত্রীযাত্রার নামে বৈদশিক মতাদর্শিক আগ্রাসন নারীদের ন্যায্য হিস্যা নয় বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, সাম্প্রতিক ‘নারী মৈত্রীযাত্রা’ আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, কিভাবে একটি স্বৈরাচার মতাদর্শিক গোষ্ঠী বারবার তাদের দাবিকে ‘অধিকার’ বলে রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অথচ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বহুপ্রত্যাশিত ও গভীর বিশ্বাসভিত্তিক দাবি—পৃথক শরিয়া কোর্ট—নিয়মিতভাবে উপেক্ষিত হয়। তাচ্ছিল্য করা হয়, কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে দমনও করা হয়।
এ সময় নারী মৈত্রীযাত্রা নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠের ইনসাফ চাই বলেও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তি
ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত নয় : সাধারণ আলেম সমাজ
ভারতের উত্তরাখণ্ডে মাদরাসা বন্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ আলেম সমাজের
এক দফাকে বারুদে পরিণত করেছিল গাশত কর্মসূচি
সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবকে ভেঙে দিন : সাধারণ আলেম সমাজ
যেসব সেক্টরে অবদান রাখতে পারে কওমি ছাত্ররা