ফি লি স্তিনসহ বিশ্বের সেইসব নির্যাতিত ও নিপীড়িত ইসলামি ভূখণ্ড—যেগুলো দুনিয়ার আক্রমণপিপাসু কাফের শক্তির নির্মম আ গ্রা স নের পরীক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যারা একাকী সেই যু লু ম ও বর্বরতার প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম—তাদের রক্ষায়, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় সহায়তার হাত বাড়ানো প্রতিটি মুসলমানের ওপর নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ফরজ। এটি শুধু মানবতা নয়, ঈমানের দাবিও বটে।
শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রথমে নিকটবর্তী ইসলামি দেশগুলোর কর্তব্য হলো নির্যাতিতদের রক্ষা এবং তাদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ময়দানে নেমে লড়াই করা। যদি তারা এই দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয় কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করে, তাহলে তাদের পরবর্তী নিকটবর্তী দেশগুলোর ওপর জিহাদ ফরজ হয়ে যাবে।
ভৌগোলিক দিক থেকে পাকিস্তানসহ দূরবর্তী মুসলিম দেশগুলো যদিও প্রথম পর্যায়ে শরয়ী দায়িত্ব পালনকারী হিসেবে বিবেচিত না হয়, তবুও কূটনৈতিক পর্যায়ে নিজেদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি ব্যবহার করা পাকিস্তান এবং অন্যান্য সকল মুসলিম দেশের শরয়ী দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। যাতে তারা যেকোনো স্তরে এবং যেকোনোভাবে আল-আকসা এবং ফি লি স্তি নি মুসলমানদের সাহায্য এবং সুরক্ষার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
যে সকল ফি লি স্তি নি মুসলমান এই মুহূর্তে দখলদার ই স রায়েলি আগ্রাসনের শিকার, তাদের সবার সাহায্য করা উম্মাহর উপর ফরজ। এমনিভাবে ফি লি স্তি নের বর্তমান পরিস্থিতি এবং মসজিদুল-আকসার সুরক্ষার জন্য পুরো মুসলিম বিশ্বের উচিত তাদের ফি লি স্তি নি মুসলিম ভাইদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা। এছাড়া, ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে প্রতিটি মুসলিমের উপর তার সক্ষমতা অনুযায়ী ভূমিকা পালন করা ফরজ।
অতএব, উম্মতের প্রতিটি শ্রেণীর লোক—সাধারণ জনগণ হোক বা শাসকগণ—তাদের অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী ফি লি স্তি ন—বিশেষত গ| জ| র মুসলমানদের সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান এবং মসজিদে আকসা (مسجد اقصیٰ) এর সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে শরয়ীভাবে দায়িত্বশীল।
তাই যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে দ খ ল দা র আগ্রাসনকারীদের বি রু দ্ধে লড়াই করা অথবা সাধারণ নির্যাতিত ফি লিস্তিনি মুসলমানদের শারীরিক বা আর্থিকভাবে সহায়তা করা সম্ভব, অথবা যারা তাদের খাদ্য-পানীয় বা অন্য কোনভাবে সাহায্য করতে সক্ষম তাদের জন্য এ ধরনের সহায়তা ও সমর্থন প্রদান করা আবশ্যক।
এছাড়া যেসব মুসলমান ই হু দি বাদী দখলদার রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে স ক্ষ ম, তারা যেন তা থেকে বিরত না থাকে। মূল কথা হলো, দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুপাতে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে না আসা ধর্মীয় ও মানবিক উভয় দিক থেকেই অপরাধস্বরূপ।
জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউন করাচীর ফাতাওয়া অবলম্বনে