সাবিনা আহমেদ
বসনিয়ান যুদ্ধ (১৯৯২-১৯৯৫), যেখানে মুসলিম দেশগুলো আর ন্যাটো (NATO) বসনিয়াক মুসলিমদের পাশে দাঁড়ায়। এই যুদ্ধে কীভাবে মুসলিম দেশগুলো গোপনে আর প্রকাশ্যে সাহায্য করেছে, জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা (Arms Embargo) কীভাবে এড়িয়েছে, ন্যাটো কেন বসনিয়াকদের পক্ষ নিয়েছে, আর কীভাবে রাশিয়া সার্বদের সাহায্য করছিল—সব বলবো।
১৯৯১ সালে ইউগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু বসনিয়ান সার্বরা, সার্বিয়ার সমর্থনে এই স্বাধীনতার ঘোষণা মানতে চায়নি। সার্বরা চেয়েছিল বসনিয়ার বড় অংশ নিয়ে ‘গ্রেটার সার্বিয়া’ বানাতে। ফলে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। বসনিয়ান এই যুদ্ধ (১৯৯২-১৯৯৫) মূলত একটি গৃহযুদ্ধ ছিল, কারণ এটি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অভ্যন্তরে বসনিয়াক মুসলিম, সার্ব, এবং ক্রোয়েট জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত হয়। তবে, সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বাহ্যিক সমর্থন এটিকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দেয়। এই যুদ্ধে প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা যায়, ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যা (১৯৯৫), যেখানে ৮,০০০+ বসনিয়াক পুরুষ-ছেলেকে হত্যা করা হয়, ছিল এই যুদ্ধের সবচেয়ে আলোচিত আর সমালোচিত কালো অধ্যায়।
১৯৯২ এ বসনিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু আগেই, যখন ইউগোস্লাভিয়ার ভাঙন শুরু হয়, এবং স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় সংঘাত চলছিল, তখন জাতিসংঘ ১৯৯১ সালে (UNSC Resolution 713) ইউগোস্লাভিয়ার সব পক্ষের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে; উদ্দেশ্য ছিলো সহিংসতা কমানো, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো, এবং সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা ১৯৯২-এ বসনিয়ান যুদ্ধে বসনিয়াকদের ( বসনিয়াযর মুসলমান) প্রচন্ড অসুবিধায় ফেলে।
ইউগোস্লাভিয়ার ভাঙনের সময় (১৯৯১-১৯৯২) ইউগোস্লাভ ন্যাশনাল আর্মি (JNA) সার্বিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, কারণ JNA-র অধিকাংশ অফিসার ও সৈন্য ছিল সার্ব। বসনিয়ান যুদ্ধ শুরুর আগে (১৯৯২) JNA তার বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার (ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি, রাইফেল) বসনিয়ান সার্ব বাহিনী (VRS) ও সার্বিয়ার হাতে হস্তান্তর করে। বসনিয়াকরা JNA-তে সংখ্যালঘু ছিল এবং JNA-র সার্ব-নিয়ন্ত্রিত নেতৃত্ব তাদের অস্ত্র দেয়নি। বসনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার (১৯৯২) সময় JNA বসনিয়াকদের বিরুদ্ধে সার্বদের সমর্থন করে, তাই বসনিয়াকরা শুধু হালকা অস্ত্র ও সীমিত মজুদ নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে।
এসব কারণে যুদ্ধের শুরুতেই মুসলিম দেশগুলো জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে বসনিয়াকদের বিরুদ্ধে ‘জেনোসাইডের লাইসেন্স’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে। মুসলিম ভাতৃত্ববোধ, মানবিকতা আর ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে তারা বসনিয়াকদের পাশে দাঁড়ায়। গোপনে আর প্রকাশ্যে এই দেশগুলো অস্ত্র, টাকা, মুজাহিদিন, আর মানবিক সাহায্য পাঠায় বসনিয়াকদের জন্য।
এই মুসলিম দেশগুলো হলো- ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, UAE, সুদান, এবং কাতার।
কে কিভাবে সাহায্য করে তার তালিকা:
– ইরান: যুদ্ধের শুরু থেকেই তার বসনিয়াকদের সবচেয়ে বড় সামরিক সাপোর্টার ছিলো। ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে ইরান প্রায় ১৪,০০০ টন অস্ত্র (রাইফেল, মেশিনগান, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র) পাঠায়। অস্ত্র পাঠাতে তারা সুদানকে ট্রানজিট হাব আর ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব-স্প্লিট এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড (IRGC) প্রশিক্ষক, গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ, আর ৩,০০০-৪,০০০ ফাইটার পাঠায়। হিজবুল্লাহ’র ৪০০ যোদ্ধা জেনিকা-ভিসোকোতে ক্যাম্প বানায়। ইরান একাই ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে ৬০-৮০% অস্ত্র সরবরাহ করে। এছাড়াও, ইরান মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য, ওষুধ, এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করে, যা সারায়েভো অবরোধের সময় বসনিয়াকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইরানের এই সমর্থন বসনিয়াকদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ছিল, যদিও এটি পশ্চিমা দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণ হয়েছিল।
– সৌদি আরব: ৩০০ মিলিয়ন ডলারের গোপন অস্ত্র প্রোগ্রাম আর ৫০০ মিলিয়ন ডলার মানবিক সাহায্য দেয়। রাতের ফ্লাইটে বসনিয়ার টুজলায় তাদের সাপ্লাই পাঠায়। সৌদি এমব্যাসি ভলান্টিয়ার মুসলিম যোদ্ধাদের বসনিয়ায় আনতে সহায়তা করে। সৌদির বেনেভলেন্স ইন্টারন্যাশনাল, আল-হারামাইন, মানবিক সাহায্যের নামে টাকা-লজিস্টিক্স দেয়।
– পাকিস্তান: আইএসআই ১৯৯২ থেকে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, অস্ত্র এয়ারলিফট করে, যা সারাজেভো অবরোধ ভাঙতে সাহায্য করে। জেনারেল জাভেদ নাসিরের অধীনে, আইএসআই বসনিয়ান সেনাবাহিনীকে (এআরবিআইএইচ) অস্ত্র সরবরাহ করে। তারা সরাসরি সেনা না পাঠালেও, পাকিস্তান সরকার ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে (UNPROFOR), যুদ্ধ চলাকালে, ১০,০০০+ সৈন্য প্রেরণ করে, যারা বসনিয়ায় নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানের ত্রাণ সংস্থাগুলি খাদ্য, কম্বল, এবং চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করে, এবং দেশটি বসনিয়ার শরণার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয় । ৩৮০ জন বসনিয়াক, যারা এন্ডেনজার্ড ছিলো, পাকিস্তানে জায়গা দেয়। পাকিস্তানের এই ভূমিকা মুসলিম বিশ্বে তাদের নেতৃত্বের অবস্থানকে শক্তিশালী করে তোলে।
– তুরস্ক: ইরানের অস্ত্র পাঠানোর পথ সহজ করে, নিজেও অস্ত্র-টাকা দেয়। শত শত তুর্কি ভলান্টিয়ার যুদ্ধে যায়। IHH মানবিক সাহায্য আর গোপনে অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করে। জাতিসংঘ ও ন্যাটোতে, বসনিয়ার পক্ষে জোরালো কূটনৈতিক প্রচারণা চালায়। তুরস্ক ১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সৈন্য পাঠায় এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য, ওষুধ, এবং আশ্রয় সামগ্রী সরবরাহ করে। তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও, তুরস্ক বসনিয়ার সেনাবাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করে, যা তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ছিল। তুরস্কের এই ভূমিকা বসনিয়ার সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ককে আরও গভীর করে। ন্যাটোর ডিনাই মিশনে তুরস্ক ৭৮টি উড়ানে অংশ নেয়। তুরস্ক ন্যাটো আর মুসলিম দেশগুলোর মাঝে ব্রিজ হিসাবে কাজ করে।
– মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, UAE, কাতার: টাকা দিয়ে অস্ত্র ক্রয় আর মানবিক সাহায্য দেয়। মালয়েশিয়া শান্তিরক্ষী পাঠায়।
– সুদান: ইরানের অস্ত্রের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে, কিছু মুজাহিদিন পাঠায়। সুদান আর বসনিয়ার ব্যক্তি মালিকাধীন থার্ড ওয়ার্ল্ড রিলিফ এজেন্সি (TWRA) ছিল অস্ত্র কেনা আর পাঠানোর মূল হাব। এটি সৌদি, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, UAE, সুদান, কাতারের কাছ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে। পূর্ব ইউরোপের ব্ল্যাক মার্কেট থেকে অস্ত্র কিনে ক্রোয়েশিয়া-আলবেনিয়া দিয়ে তা বসনিয়ায় পাঠায় । ক্রোয়েশিয়া দিয়ে অস্ত্র পাচার কালে ক্রোয়েশিয়া ৩০%-৫০% অস্ত্র নিজের কাছে রেখে দিত।
ইরান সুদান-ক্রোয়েশিয়া রুটে, সৌদি টুজলা ফ্লাইটে, পাকিস্তান এয়ারলিফটে, তুরস্ক ইরানের সাথে সমন্বয়ে এসব শত শত অপারেশনের মাধ্যমে বসনিয়াকদের অস্ত্র পাঠায়। যা দিয়ে বসনিয়াকরা যুদ্ধ চালিয়ে টিকে থাকে, নাহলে বহু আগেই তারা এথনিক ক্লিনসিংয়ে নির্মূল হয়ে যেত।
প্রশ্ন হলো ন্যাটো আর আমেরিকা কি এসব অপারেশনের কথা জানতো? আমেরিকা আর ন্যাটো এই মুসলিম দেশগুলোর গোপন-প্রকাশ্য সাহায্যের কথা জানতো। সিআইএ’র ১৯৯৪-১৯৯৫ রিপোর্টে ইরান, সৌদি, পাকিস্তান, তুরস্কের অস্ত্র সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু তারা বাধা দেয়নি। বসনিয়াকদের টিকিয়ে রাখার জন্য এসব জরুরি ছিলো, যা ন্যাটোর স্ট্র্যাটেজির সাথেও মিলে যায়।
আমেরিকা বসনিয়ান আর্মিকে প্রশিক্ষণ দেয় (MPRI প্রোগ্রাম), যেখানে সৌদি, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, UAE’র টাকা ব্যবহৃত হয়। কিছু রিপোর্ট বলে, আমেরিকার C-130 প্লেন টুজলায় রাতের ফ্লাইটে সাপ্লাই পৌঁছাতো।
৯২ থেকে ৯৫ পর্যন্ত এভাবেই চলছিল, এরপর ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ন্যাটোর অপারেশন ডেলিবারেট ফোর্স (১৯৯৫) ছিলো যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট, যেখানে তারা সার্বদের পক্ষে না যেয়ে বসনিয়াকদের পক্ষে দাঁড়ায়। । যার সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
১) ইওরোপিয়ান বসনিয়াকদের উপর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর প্রভাব কমানো।
২) স্রেব্রেনিৎসার বসনিয়াকদের গণহত্যা, সারাজেভো অবরোধ পশ্চিমা বিশ্বের জনগণকে শকড করে। মিডিয়ার ছবি ন্যাটোর উপর চাপ সৃষ্টি করে। বসনিয়াকরা ছিল সার্ব আগ্রাসনের প্রধান শিকার।
৩) ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ স্রেব্রেনিৎসাকে ‘নিরাপদ এলাকা’ ঘোষণা করে, এবং UNPROFOR-এর একটি ছোট দল (প্রথমে কানাডিয়ান, পরে ডাচ সৈন্য) সেখানে মোতায়েন ছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যার সময় তাদের সীমিত সংখ্যা ও দুর্বল ম্যান্ডেটের কারণে বসনিয়ান সার্বদের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। ন্যাটো তখন এয়ার সাপোর্ট থেকে সার্ব পজিশনে বোমা মারা শুরু করে।
৪) এই যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ছিল। ন্যাটো চায়নি এটা ছড়িয়ে পড়ুক।
৫) ন্যাটোর উপর মানুষের আস্থা কমতে শুরু করে। কোল্ড ওয়ারের পর ন্যাটোর রিলেভেন্সি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরে। অ্যাকশন না নিলে তাদের ইমেজ নষ্ট হতো।
৬) সবচেয়ে বড় সম্ভাব্য কারণ ন্যাটো, বিশেষ করে আমেরিকা, ইওরোপে রাশিয়ার প্রভাব কমাতে চেয়েছিল। রাশিয়া সার্বদের কূটনৈতিক ও সম্ভবত সামরিক সমর্থন দিচ্ছিল। কিছু রিপোর্ট বলে, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সার্বদের অস্ত্র সরবরাহ করছিল। ন্যাটো বসনিয়াকদের সাপোর্ট করে রাশিয়ার প্রভাব কমানোর চেষ্টা করে, পাশাপাশি পশ্চিমা ডমিনেন্স বজায় রাখে।
শুরু হয়, সার্বদের উপর ন্যাটোর বোমা হামলা, যা সার্বদের দুর্বল করে, বসনিয়াক-ক্রোয়েটদের সমান শক্তি দেয়, এবং ডেটন চুক্তির পথ খোলে।
ডেটন চুক্তি (নভেম্বর ১৯৯৫) যুদ্ধ শেষের পর স্বাক্ষরিত হয়। এটি বসনিয়ান যুদ্ধ (১৯৯২-১৯৯৫) আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে। চুক্তি ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন IFOR (ইমপ্লিমেন্টেশন ফোর্স) মোতায়েনের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার জন্য ন্যাটোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা যুদ্ধ-পরবর্তী বসনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। এই চুক্তির পর ন্যাটো ইরানি অপারেটিভদের বসনিয়া থেকে বের করে দেয় আর সৌদি-ফান্ডেড সংগঠনগুলোর সাথে আল-কায়েদার সম্পর্কের কারণে সৌদির উপর নজর বাড়ায়।
এই একই সহায়তা মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনকে দিতে সক্ষম হয়নি। কারন এখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বয়ং আমেরিকা আর ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। তবে ইরান এখানেও সকল রক্তচক্ষুর সামনে তাদের সাহায্যের হ্যাট বাড়িয়ে রেখেছে। নিজেও আক্রমণের শিকার হয়েছে।
নোট: যাদের মনে প্রশ্ন জাগছে, বাংলাদেশ কি যুদ্ধ চলাকালে (১৯৯২ থেকে ১৯৯৫) কোনও ভূমিকা রেখেছে? বাংলাদেশ যুদ্ধ চলাকালে (১৯৯২-১৯৯৫) বসনিয়ায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (UNPROFOR)-এর অধীনে শান্তিরক্ষী পাঠায়। ডেটন চুক্তির (১৯৯৫) পর ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন IFOR বা SFOR মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী অংশ নেয়নি। তবে আমার মতে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতন কোভার্ট অপারেশনে সাহস করে মুজলিমের পাশে না দাঁড়ানোর কারণ আমাদের ইনফেমাস পররাষ্ট্রনীতি, “ সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়।” আমরা ফেরেশতা।
লেখিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক