বাংলাদেশের কোন কৌশলে সম্ভব হলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে

টুডেনিউজ বিডি ডটনেট

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে দেখা দিয়েছে নতুন আশার আলো। এক যুগান্তকারী মোড়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনা। কঠোর কূটনৈতিক কৌশল ও দৃঢ় অবস্থানের ফলে অবশেষে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার।

ঘটনার শুরু ব্যাংককে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। তবে আলোচনার আগে বাংলাদেশ পরিষ্কার বার্তা দেয়- সম্মানহানিকর মন্তব্যের ব্যাখ্যা না পাওয়া পর্যন্ত কোনো আলোচনা নয়।

বিমসটেক সম্মেলনে মিয়ানমারের এক নেতা রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাঙালি’ আখ্যা দিলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ঢাকা। এরপরই বাংলাদেশ বৈঠকে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়, যা মিয়ানমারকে কৌশল পাল্টাতে বাধ্য করে।

এই অবস্থান বদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান খলিলুর রহমান। দৃঢ়তা ও কৌশলের মিশেলে তিনি শুধু আলোচনায় গতি ফেরান না, বরং মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের রোহিঙ্গাদের স্বনামে -রোহিঙ্গা- সম্বোধনে রাজি করান।

এই ঘটনাকে বিশ্লেষকরা দেখছেন এক বিরল কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে। কারণ, এতদিন ধরে মিয়ানমার সরকার এই পরিচয়কে অস্বীকার করে আসছিল।

আলোচনায় মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট তালিকা অনুযায়ী ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা এখন দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুত ও উপযুক্ত।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। রয়টার্স, ইএফই ও ওয়াশিংটন পোস্টের মতো শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো এটিকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানের সম্ভাব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে উল্লেখ করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কৌশলগত অগ্রগতি কেবল একটি আলোচনার সাফল্য নয়। বরং দীর্ঘদিনের মানবিক সঙ্কট সমাধানের পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ।

রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার স্বপ্ন আবারও বাস্তবতার কাছাকাছি এসেছে। এখন দেখার পালা—এই প্রক্রিয়া কতটা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়।

উপ-প্রেস সচিব কালাম আজাদের ফেসবুক পোস্ট অবলম্বনে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top