টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা পূর্বের ১৫ শতাংশ হারের তুলনায় অনেক বেশি। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য রফতানি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১০.১৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ৭.৫৯ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার। রফতানির সিংহভাগই ছিল তৈরি পোশাক, যার পরিমাণ ৭.৪৩ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রধানত লোহা-ইস্পাত, খনিজ জ্বালানি, তুলা, তেলবীজ ও নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর আমদানি করে।
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ও শুল্কজনিত সমস্যার সমাধানে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মনে করেন, মার্কিন সরকার যদি শুল্কহার ৭৪ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনে, তাহলে বাংলাদেশি রফতানিকারকদের জন্য এটি ইতিবাচক হবে।
এছাড়া বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান উল্লেখ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার ফলে তুলা আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সরকার মার্কিন প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করলে আরো নতুন বাণিজ্য ক্ষেত্র উন্মোচিত হতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে নতুন পণ্য আমদানির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের ওপর জোর দিচ্ছেন। এছাড়া নীতিগত সংস্কার ও আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করলে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন।




