বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতা, ইসলামী রাজনৈতিক দল,

বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতার পথে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে দেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো। এ প্রক্রিয়ায় ৮টি নিবন্ধিত ইসলামী দল ছাড়াও এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকেও (এনসিপি) যুক্ত করার আলোচনা চলছে। এই উদ্দেশ্যে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা একাধিক বৈঠক করেছেন এবং ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রাখছেন।

সমঝোতার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “দেশের ইসলামিক পণ্ডিত ও আলেম-উলামা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, এবারের নির্বাচনে সব ইসলামী শক্তির মধ্যে একটা নির্বাচনী ঐক্য থাকতে হবে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, “আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করছি। সেটি শুধু ভোটের জন্য।” তিনি আরও বলেন, “বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করছি।”

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, “অতীতে কে কী বলেছে সেটি খুব একটা বিবেচ্য নয়। বরং দেশ এবং উম্মাহর স্বার্থে আগামীতে ভালো কী করা যায়, সেটিই মুখ্য।”

এ পর্যন্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও খেলাফত আন্দোলন।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের জানান, “আমাদের ৫টি দলের লিয়াজোঁ কমিটি আছে… ঐক্যটা চূড়ান্ত হলে পরে অন্য দলগুলোর বিষয়ে আলোচনা এগোবে।”

জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এখন সব আসনে প্রার্থী নিয়ে কাজ করছে। তবে তপশিল ঘোষণার পর সমঝোতা হলে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন তাদের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। নির্বাচন নিয়ে বা নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা নেই।”

সব মিলিয়ে তফসিল ঘোষণার পর ইসলামী দলগুলোর এই উদ্যোগের চূড়ান্ত চিত্র প্রকাশ্যে আসবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top