ভারতীয় মুসলমান নেতারা কেন দেশের পক্ষে

ভারতীয় মুসলমান নেতারা কেন দেশের পক্ষে বলছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভা র তে বিশ কোটিরও বেশি মুসলমান সংখ্যালঘু হয়ে বসবাস করছেন, তবু তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ গেরুয়া স ন্ত্রা সের বিরুদ্ধে এক অসম জি হা দ চালিয়ে সেখানে টিকে আছেন। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের “হিন্দু রাষ্ট্র” গড়ার আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ভা র তী য় মুসলমানরা সবসময় সেক্যুলার সংবিধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যাতে করে কালিমা, নামাজ, রোজা, কোরবানির অধিকার সংরক্ষিত থাকে। তাদের সেক্যুলার সংবিধানপ্রীতি কোনো পাকিস্তানবিরোধী চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার কৌশল।

মোদি সরকার যখন কিছু মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় তখন তা নিয়ে বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়, অথচ ভা র তে যদি সত্যিই কোনো বড় আকারের দমন-পীড়ন শুরু হয় এবং শরণার্থীর ঢল নামে, তখন বাংলাদেশের পক্ষে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। রোহিঙ্গাদের মতো শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ আগে থেকেই হিমশিম খাচ্ছে। তার ওপর শিক্ষিত, মুজাহিদপ্রবণ ভা র তী য় মুসলমানদের নতুন ঢল এলে তাদের জায়গা, খাদ্য, শিক্ষা—সবই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

আজকের ভা র তী য় মুসলমানরা বাংলাদেশের মুসলমানদের তুলনায় অনেক বেশি ঈমানদার ও আইকিউসম্পন্ন। তারা বংশ পরম্পরায় রক্ত দিয়ে হাজার হাজার মসজিদ-মাদরাসা টিকিয়ে রেখেছেন, যার ফলেই হিন্দুপ্রধান ভা র তে আজও পাঁচ ওয়াক্ত আজান হয় তিন লক্ষাধিক মসজিদে, পাঠ হয় কোরআন-হাদীসের হাজারো মাদরাসায়। তাদের এই আত্মত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এখন এমন অবস্থান নিয়েছেন, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য উপকারী এবং পাক-বাংলা মুসলমানদের জন্যেও কৌশলগতভাবে লাভজনক।

যদি আজ তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বক্তৃতা দিতে শুরু করে, তবে গেরুয়া বাহিনী পশ্চিমবঙ্গ-আসামে মুসলিম গ ণ হ ত্যা শুরু করতে পারে, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে বিশাল শরণার্থী ঢল নামার আশঙ্কা তৈরি হবে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে তারাও এই শরণার্থীদের ধারণ করতে পারবে না। এতে একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতিরও জন্ম হতে পারে, আর বাংলাদেশের জন্য এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাই যেসব শায়েখ এই বিশ কোটি ভা র তী য় মুসলমানের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের উচিৎ আবেগ নয়, বরং বাস্তবতাকে গুরুত্ব দেওয়া। কথায় কথায় উম্মাহর কথা বলে ফতোয়াবাজি না করে আসলেই উম্মাহর বৃহত্তর কল্যাণ কীভাবে সাধিত হয়, সেই বিবেচনা করা জরুরি। মুসলমানদের রক্ত হালাল করে দেওয়ার আগে ভেবে দেখা দরকার, কীভাবে সবাই মিলে এশিয়ার ই জ্রে ল কে প্রতিহত করা যায়।

ভারতীয় মুসলিম নেতারা কেন এলোমেলো কথাবার্তা বলছেন?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top