একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ, বিপ্লবী, মুসলিম নেতা, বিজেপি, নারীবাদী,

ভারতীয় মুসলিম নেতারা কেন এলোমেলো কথাবার্তা বলছেন?

মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ

যতদূর মনে হচ্ছে, হি ন্দু স্তানের মুসলিম কমিউনিটি ও রাজনীতির নেতারা একটা সংকটের মধ্যে আছেন। পা কি স্তা ন ইস্যুতে সবসময় তাদেরকে সন্দেহ করা হয় এবং খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কথা বলা হয়। এজন্য পা কি স্তান-হি ন্দু স্তান জটিলতায় দুই কদম এগিয়ে কথা বলতে হয় তাদের। এটা ৮০/৯০ দশকের দিকেও চালু ছিল, কিন্তু গত ১০-১৫ বছরে এই জটিলতা অনেক বেড়ে গেছে।

পা হে ল গাও ঘটনার পেছনে কী আছে, ভালোভাবে প্রমাণ করার আগেই পা কি স্তানে বিমান হামলা নিয়ে হি ন্দু স্তা নের অ-বিজেপি অনেক নেতারাও নিজেদের মতো করে মুখ খুলতে পারছে না। সবাইকে কম-বেশি হি ন্দু ত্ব বাদী বিজেপির ফর্মুলা অনুযায়ী হাওয়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। হি ন্দু জাতীয়তাবাদ ও হি ন্দু ত্ব বাদী ভা র তবাদের ফ্রেমের বাইরে থাকাটা তাদের জন্য নিরাপদ থাকছে না। ওই দেশের জনতা মিডিয়া আর্মি সব একই ফর্মুলায় চলছে।

এই সংকটের মধ্যেই মুসলিম নেতাদের কেউ কেউ দেশীয় বাস্তবতায় দায়িত্ব পালনের স্বার্থে কিছু কথা বলছেন, আবার কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে অনেক এলোমেলো কথাও বলছেন। দূর থেকে পর্যবেক্ষণে মনে হয়, এটা মুসলিম নেতাদের সামনে তিক্ত বাস্তবতা ও সংকট; কিন্তু এভাবে তারা কতদূর যাবেন কিংবা কবে গিয়ে হি ন্দু ত্ব বাদী রাষ্ট্র প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন এটা বলা খুব মুশকিল। সেখানে শুধু পা কি স্তা ন বিদ্বেষ নয়, উপমহাদেশব্যাপী মুসলিম বিদ্বেষের এক গভীর খাদ অলরেডি বানানো হয়ে গেছে।

মুসলিমদের ধারণ করা তো দূরের জিনিস, ভা র ত আসলে জাতিগত বৈচিত্র নিয়ে চলার সব সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলেছে। নিজ দেশে ও প্রতিবেশীদের সাথে সংকট লাগিয়ে রাখা ছাড়া সম্ভবত তার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। এই পরিস্থিতিটা হয়তো আয়তনে বড় ওই রাষ্ট্রটির জন্য রুঢ় কোনো সাফল্য কিংবা খন্ডে বিখন্ডে বিনাশ হওয়ার পথ সুগম করবে। সময় বলে দেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top