ভারতে গত চার দশকে উগ্রবাদী হামলায় ২০ হাজার জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত নয়াদিল্লির স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ।
তিনি বলেন, ৬৫ বছর আগে ভারত সৎ বিশ্বাসের ভিত্তিতে সিন্ধু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তির প্রস্তাবনাতেই বন্ধুত্ব ও সদিচ্ছার কথা বলা আছে। অথচ পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধ ও হাজারো উগ্রবাদী হামলা চালিয়ে ওই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। এর মধ্যে গত চার দশকেই উগ্রবাদী হামলায় অন্তত ২০ হাজার ভারতীয় নিহত হয়েছে। তথাপি এই পর্যন্ত ভারত ‘অনেক ধৈর্য ও উদারতা’ দেখিয়ে আছে।
শনিবার (২৪ মে) জাতিসঙ্ঘে দেয়া এক ভাষণে পার্বথানেনি হরিশ এমন মন্তব্য করেন। তার আগে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রতিনিধি ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সমালোচনা করে বলেন, পানির অপর নাম জীবন। তাই পানিকে যুদ্ধের অস্ত্র বানানো সমুচিৎ নয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় পার্বথানেনি হরিশ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘যতদিন না পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত উগ্রবাদে সমর্থন বন্ধ করছে, ততদিন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতই থাকবে।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ভারত সর্বদা উচ্চতর নদীতীরবর্তী রাষ্ট্র হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। এর স্বপক্ষে তিনি চারটি পয়েন্টে প্রমাণও তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে উগ্রবাদী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। পরে নয়াদিল্লি কোনো ধরনের তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই দাবি করে, ওই হামলার সাথে সীমান্তের ওপারের সংযোগ রয়েছে। এর ভিত্তিতে ভারত ২৩ এপ্রিল সিন্ধু চুক্তি স্থগিতসহ আরো নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এরপর ৭ মে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান পরিচালনা করে ভারত। এতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মিরে অনেক হতাহত হয়। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। অবশেষে ১০ মে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।
সূত্র : এনডিটিভি