শরীফ মুহাম্মদ
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান অনেকটা একা; রাষ্ট্র হিসেবে। এর দায়টা তারই বড়। প্রধান সব কয়টি সুন্নি রাষ্ট্রের সঙ্গে অনাস্থা ও চালাকির সমস্যা সে তৈরি করেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় সরাসরি দমন পীড়নে অংশ নিয়েছে। এমনকি কয়েকটি রাষ্ট্রে বিপর্যয়কর ঘটনা তৈরি এবং পরবর্তীতে সরকার বসানোর ক্ষেত্রে মা র্কি নিদের সাথে মিলে সুন্নি মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। পরিস্থিতি এমন যে রাজনৈতিকভাবে, কূটনৈতিকভাবে এবং নিরাপত্তাগতভাবে ই রান কে অন্যরা অমুসলিমদের চেয়েও বেশি ভয় পায়। আকিদাগত জটিলতা, দূরত্ব ও ভয়াবহতার কথা না হয় এখন বাদ দিলাম। এ পরিস্থিতি কাটানোর জন্য ৭৫ ভাগ চেষ্টার দায় তার উপর পড়ে। আস্থার সম্পর্ক হওয়া দরকার, বোঝাপড়া ভালো থাকা দরকার। তা না হলে একক ভাবে আক্রান্ত হওয়ার খড়গটা সবার মাথার উপরেই থাকবে।
আরেক দিকে উপ-সাগরীয় আরব দেশগুলোর বাদশাদের চাটাচাটি ও তেল মারামারি-র খাসলত এত খারাপ হয়েছে যে মোটা দেখলেই এরা চাটতে শুরু করে। শুধু ড্রাম্প আর ট্যানানিয়া হুই না, গত কয়েক বছরে ইন্ডিয়ার মূত্রখোর গোডির সামনেও একেকজন বাদশা শুয়ে পড়েছে। কী গদগদ, কী ভক্তি! গোডির সৌজন্যে আরব দেশে নতুন নতুন মন্দির পর্যন্ত বানিয়েছে! এরা আসলে দ্বীনের সৌন্দর্য, উসুল এগুলোতো ভুলেছেই; আত্মমর্যাদা, স্বাতন্ত্র্য, ন্যূনতম আত্ম-সম্মানবোধের যে কিছু প্রতিকী ব্যাপার আছে, এসবও হারিয়ে ফেলেছে। এদের কাছ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করাটা কঠিন, হামারিকা, হিংস্রাবিল সহ অন্য বিভিন্ন শক্তির সামনে পায়ে ধরে ঝুলে থাকা ছাড়া এরা আর কিছু পারবে বলে মনে হয় না। এ অবস্থাটা নিঃসন্দেহে দুঃখের। আল্লাহ তাআলা পরিবর্তন করে দিন।
এসব কারণেও মধ্যপ্রাচ্যের কোন সংকটে সাহসী পরিবর্তনবাদী কোনো সিদ্ধান্তের দিকে বেশিরভাগ রাজা বাদশা, সরকার আগাবে বলে মনে হয় না। বর্তমানে ই রানে র একাকিত্বের এটাও একটা কারণ। দেখা যাক সমীকরণ, মেরুকরণ, পরিস্থিতি অনেক সময় আল্লাহ তায়ালা খাসভাবে তৈরি করে দেন। কুদরতের কোনো কারিশমায় জালেম কাতিলদের পাকড়াও হোক।
লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে গৃহীত