মাদ্রাসা নিয়ে উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদের বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব শনিবার বলেন, গত ৩ জুলাই নারী ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা জনাবা শারমিন এস মুর্শিদ মাদ্রাসায় শিশুদের যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ তুলেছেন, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি দেশের মন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত। দেশের সকল নারী ও শিশুর স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব। মাদ্রাসায় কোন শিশু নির্যাতনের শিকার হলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও তার দায়িত্ব। এমন গুরুতর দায়িত্ব নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন। তার কাজ তো অভিযোগ করা না। ব্যবস্থা নেয়া। সত্য হলো, মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের তেমন কোন ঘটনা ঘটে না; ফলে ব্যবস্থা নেয়ার মতো কিছু নাই। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা হলো মাদ্রাসা সম্পর্কে জনমনে একধরণের নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, মাদ্রাসাগুলো জনমানুষ সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতিদিনই এলাকার সাধারণ মানুষ নামাজ-পড়তে আসেন। ফলে মাদ্রাসায় কোন অঘটন ঘটলে তা চাপা পড়ার কোন সুযোগ নাই। মাদ্রাসাগুলো চোখের আড়ালে থাকে বলে তার অভিযোগ যথার্থ না। বরং প্রতিটি মাদ্রাসাই উন্মুক্ত ও সকলের জন্য সমান প্রবেশাধিকার থাকে। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি জনাবা শারমিন মুর্শিদ মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার চরিত্র সম্পর্কে একেবারেই জানেন না।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, আমরা আশা করবো, আমাদের উপদেষ্টাবৃন্দ দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সমান আচরন করবেন। তথ্যভিত্তিক কথা বলবেন। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বা কোন উদ্দেশ্য দ্বারা তাড়িত হয়ে কোন মন্তব্য করবেন না। মাদ্রাসা সম্পর্কে অতিতের ফ্যাসিবাদ যেভাবে নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়েছে তার সাথে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হয়ে তিনি তাল মেলাবেন না। উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদকে তার বক্তব্যের জন্য অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।