হেফাজতে ইসলামের মামলার বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। বুধবার (২৮ মে) হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, আজ বুধবার দুপুরে মাননীয় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাহেব তার ফেসবুক পোস্টে মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে কিছু কথা লিখেছেন। সেখানে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে বিলম্বের অভিযোগ নিয়ে তিনি তার মন্তব্য লিখেছেন। এক পর্যায়ে তিনি লিখেছেন, ‘অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে (২০ মে ২০২৫ তারিখে ) ৪৪টি মামলার তালিকা প্রদান করেছে।’ বিষয়টি হেফাজতের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং করাটাই স্বাভাবিক। এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল হিসেবে আমার বক্তব্য হলো, আমিসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মামলা বিষয়ক উপ-কমিটির দায়িত্বশীলগণ এ বিষয়ে গত চার পাঁচ মাস যাবত সব ধরনের তদবির ও চেষ্টা চালিয়েছি। আমি নিজেই মাননীয় আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে তার কার্যালয়ে দু দু বার সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করে আমরা আমাদের সকল নথিপত্র সুবিন্যস্তরূপে জমা দিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, প্রথমত মামলাগুলো ডিসি অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হলে আমরা তা জমা দেই । ঢাকার ডিসির নিকট মামলা জমা দেয়ার সময় মহানগর সভাপতিসহ আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম । এরপর একাধিকবার ঢাকার পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিসে গিয়ে কাজের অগ্রগতির তদারকি করেছি এবং ডিসি অফিসেও ধর্ণা দিয়েছি । সেখান থেকে সুপারিশসহ ডিসি অফিসে মামলাগুলো জমা হলে ডিসি অফিস থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে কিছু মামলার বিষয়ে প্রত্যাহারের জন্য কার্যক্রম পরিচালনার সংকেতও দেয়া হয় । কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে পিপি এবং আদালতের মধ্যখানে বিষয়টি ঝুলন্ত রয়েছে।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আজ হঠাৎ এই মুহূর্তে আমরা জানতে পারলাম আইন উপদেষ্টা নিজেই মামলার তালিকা নিচ্ছেন । ৪৪টি মামলার তালিকা জমা দেওয়ার বিষয়টি হেফাজতের অফিশিয়াল কোন বিষয় নয়। হেফাজত থেকে অত্যন্ত সুবিন্যস্ত রূপে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র বহু পূর্বেই নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক জমা করা হয়েছে এবং প্রতিটি সাক্ষাতে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত ২৫তারিখে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে এ বিষয়টি আমরা উত্থাপন করলে উপস্থিত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাহেবকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই এক মাসের মধ্যে মামলার বিহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্মর্তব্য যে, এই ধরনের তালিকা জমা দেয়ার ঘটনা বিভিন্ন দপ্তরে সচিব ও উপদেষ্টা পর্যায়ে বহুবার ঘটেছে এবং আমরা তালিকা জমা দিয়েই যাচ্ছি।