টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
ইসরাইলি হামলায় বিপর্যস্ত গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।
আয়োজকরা আশা করছেন যে সারা দেশ থেকে লাখো মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নিচ্ছে।
উদ্যানে স্টেজ, ওয়াচ টাওয়ার ও জেনারেটর বসানো হয়েছে। আওয়াজ পৌঁছাতে ২০০টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই কর্মসূচি; আলেম-ওলামা ও সেলিব্রেটিদের ভিডিও আহ্বানে হাজারো মানুষ অংশ নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে মার্চ ফর গাজায় আগতদের জন্য গেট ও রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা : দুপুর ২টায় পাঁচটি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণোজমায়েতের সময় বিকেল ৩টা।
পথ নির্দেশনা :
স্টার্টিং পয়েন্ট ১ : বাংলামোটর। প্রবেশপথ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২ : কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)।
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩ : জিরো পয়েন্ট। প্রবেশপথ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)।
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪ : বকশীবাজার মোড়। প্রবেশপথ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)।
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫ : নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)।
বিশেষ নির্দেশনাসমূহ
-টিএসসি মেট্রো স্টেশন এদিন বন্ধ থাকবে।
-সকল পরীক্ষার্থীর জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।
সাধারণ দিক নির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সাথে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
ঘোষণাপত্রে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, আসুন, আমরা সবাই একত্রিত হই- মানবতার পক্ষে, মজলুমের পাশে। পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। আগামী প্রজন্মকে জানান ফিলিস্তিনের মানুষের যন্ত্রণার কথা, যাতে তারা শিখে কিভাবে মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হয়।