একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে কোনো ঘটনাকে তুলনা করলেই একশ্রেণীর মানুষ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের বক্তব্য, একাত্তরের সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলেই না। কথাটি শুনতে নিঃসন্দেহে ভালো লাগে, সরল মনেও গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শাহবাগীদের দুই মুখ
তবে প্রশ্ন হলো, এই ‘তুলনার নিষেধাজ্ঞা’ সবাই মেনে চলেছেন কি? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময় একই গোষ্ঠী সেই আন্দোলনকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। শুধু তাই নয়, আন্দোলন চলাকালে নিহত ব্লগার রাজীব হায়দারকে তারা ঘোষণা দিয়েছিল ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ’ হিসেবে। অথচ সেই রাজীব হায়দার ছিলেন ধর্ম ও নবী বিরোধী মতপ্রকাশের জন্য ব্যাপক সমালোচিত একজন ব্লগার।
সুতরাং ২০২৪ সালের ২৪ জুলাইকে ঘিরে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একাত্তরের তুলনায় আপত্তি জানাচ্ছেন, তাদের আপত্তির পেছনে কতটা নৈতিকতা আর কতটা রাজনৈতিক সুবিধাবাদ কাজ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থেকেই যায়। একাত্তরের সঙ্গে তুলনার সূত্রপাত ২৪ জুলাইতে নয়, বরং ২০১৩ সালের শাহবাগ চত্বরে।
এই প্রসঙ্গে বলা যায়, জুলাই নিয়ে যাদের এত এলার্জি, তাদের অবস্থান আসলে অতটা সরল নয়। তারা আদতে শাহবাগপন্থী, ফ্যাসিবাদপন্থী, হিন্দিয়াপন্থী এবং ধর্মবিদ্বেষী মনোভাবের অনুসারী বলেই মনে হয়। সেজন্যই এদের চিনে রাখা এবং সতর্ক থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে।