যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ সুপারমার্কেট চেইন কো-অপারেটিভ থেকে ইসরাইলি পণ্য অপসারণের দাবি জানিয়েছে গ্রুপের ৭৩ শতাংশ সদস্য। গাজায় চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই দাবি উত্থাপন করে তারা।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৭৩ শতাংশ সদস্য ওই মার্কেন চেইন থেকে ইসরাইলি পণ্য অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এটি যদিও বাধ্যতামূলক কোনো প্রস্তাব নয়। কিন্তু বোর্ডের দায়িত্বশীলরা বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ওই দাবিতে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর রুশ পণ্য বর্জনের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ ছিল।
দাবিতে বলা হয়, ‘আমরা বোর্ডকে আহ্বান জানাই যেন তারা রাশিয়ার ক্ষেত্রে গৃহীত নৈতিক অবস্থান অনুসরণ করে এবং ইসরাইলি পণ্য তাক থেকে সরিয়ে নেয়।’
যদিও বোর্ড প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে বাধ্য নয়, তবু তারা জানিয়েছে যে কো-অপের সোর্সিং নীতিমালা পর্যালোচনার সময় এটি বিবেচনা করা হবে। বোর্ডের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করি, গ্রীষ্মের শেষে সোর্সিং নীতি পর্যালোচনা সম্পন্ন হবে।’
২০০৫ সাল থেকে বিডিএস আন্দোলনের কর্মীরা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কারণে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ২০২৩ সালের শেষ দিকে হামাসের আক্রমণ এবং ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনের পর আন্দোলনটি আরো জোরদার হয়।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৫৩ জাচার ৩৩৯ জন নিহত ও ১ লাখ ২১ হাজার ৩৪ জন আহত হয়েছে। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়। এছাড়া ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ, যাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ার জন্য অনেক দেশে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বয়কট চলছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থী একটি দল কেএফসি রেস্তোরাঁয় ২০টি হামলা চালানোর পর ১৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার সময় এক কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হন।
গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরাইলি সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দেয়ায় ম্যাকডোনাল্ডস ও পিৎজা হাটের মতো ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে বয়কট তীব্র হয়। এই ধরনের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সাধারণত লাইসেন্সের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সেখানে স্থানীয় কোম্পানি নির্দিষ্ট মেনু, পোশাক ও ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই