গুনাহ, রাসূলুল্লাহ (সা.),

যে ছয়টি গুনাহ থেকে বাঁচলে জাহান্নাম থেকে বাঁচা সহজ

আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ

ছয়টি গুনাহ থেকে বাঁচলে জাহান্নাম থেকে প্রায় বাঁচা হয়ে যায়!
অন্তরের তিনটি গুনাহ (গোপন গুনাহ)
১. হাসাদ (হিংসা)
কুরআন:
“তারা যদি তোমার ক্ষতিসাধনে আগ্রহী হয়, তবে আল্লাহই তোমার জন্য যথেষ্ট।”(সূরা আল-ফালাক, ১১৩:৫)
“আমি আশ্রয় নিচ্ছি হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।”
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,”হিংসা (হাসাদ) নেক আমলকে আগুন যেমন কাঠকে ধ্বংস করে তেমনি ধ্বংস করে দেয়।”(আবু দাউদ: ৪৯০৩)

২. রিয়া (লোক দেখানো আমল)
কুরআন:
“ওইসব লোকদের দুর্ভোগ যারা নামায পড়ে কিন্তু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে।”(সূরা আল-মাউন, ১০৭:৪-৬)
হাদীস:
নবী (সা.) বলেন, “সবচেয়ে ভয়ানক ছোট শিরক হলো রিয়া।”(মুসনাদ আহমাদ: ২৩৬৩০)

৩. কিবর (অহংকার/গর্ব)
কুরআন:
“আল্লাহ অহংকারকারীদের ভালোবাসেন না।”(সূরা নাহল, ১৬:২৩)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যার অন্তরে সরিষা দানার সমান অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”(সহীহ মুসলিম: ৯১)

মুখের তিনটি গুনাহ (প্রকাশ্য গুনাহ)
১. গীবত (পরনিন্দা)
কুরআন:
“তোমরা একে অন্যের গীবত করো না। কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?” (সূরা হুজুরাত, ৪৯:১২)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “গীবত হলো—তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বলা যা সে অপছন্দ করে।” (সহীহ মুসলিম: ২৫৮৯)

২. মিথ্যা বলা
কুরআন:
“আল্লাহ মিথ্যাবাদী ও গোনাহগারকে পথ দেখান না।”(সূরা আল-মুমিন, ৪০:২৮)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “মুমিন মিথ্যাবাদী হতে পারে না।”
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক: ১৫৬১)

৩. লানত বা গালমন্দ করা
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “একজন মুমিন গালাগালকারী, লানতকারী, অশ্লীলভাষী বা কুরুচিপূর্ণ কথা বলা ব্যক্তি হতে পারে না।”(তিরমিযী: ১৯৭৭)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই ৬ টি গুনাহমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top