অনলাইন প্রতিবেদক
“সাবেক তিন সিইসি হলেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল” এরা গনতন্ত্র ধ্বংসকারী, এদের আইনসঙ্গতভাবে বিচার হওয়া উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ নয়া পল্টন সংবাদ সম্মেলনে দলের কর্মসূচি ঘোষণাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, মানুষ অপদস্থ হোক সেটি আমরা করব না। মানুষের অপরাধ থাকলে তার আইনসঙ্গত ভাবে বিচার হবে। ন্যায্য বিচার হবে, সে যেন উপযুক্ত বিচার পায়। সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, রকিব, হাবিবুল আউয়াল তারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে, তছনছ করে শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে পার্মানেন্ট করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এ জন্য শুধু আমরা ধিক্কার ও ঘৃণা জানাই না, এদের বিচার হতে হবে। অবশ্যই সেটা আইনসঙ্গত ভাবে। শেখ হাসিনা যে পথ দেখিয়েছে আমরা সে পথে যাব না, আমরা যাব গণতন্ত্রের পথে, আইনের পথে। এ জন্যই তো আমাদের ১৬ বছরের আন্দোলন- সংগ্রাম। আইন হাতে তুলে নেব না। কেন আমরা একজনকে ঢিল বা ডিম ছুঁড়ে মারবো , গলায় জুতামালা পরাবো? সে অন্য দলের হোক, তার অপরাধের ন্যায্য বিচার হতে হবে। । সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনার গণতন্ত্র ধ্বংসকারী। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে তারা মাটিচাপা দিয়েছে। লেলিয়ে দিয়ে, বেআইনিভাবে রাস্তার মধ্যে যাকে – তাকে আঘাত করতে হবে, এটা আমরা করব না।
তিনি বলেন, আমরা গেল ১৬ বছর কখনো খেতে পেরেছি কখন খেতে পারিনি। অধিকাংশ দিন ঘুমাতে পারিনি রাতের পর রাত , আমাদের এইভাবে জীবন যাপন করতে হয়েছে। গুম খুনের প্রতিবাদ রিমান্ডে ছিলাম তার হিসাব নেই। সন্ত্রাসী , মাদক কারবারীদের সাথে আমাদেরকে কারাগারে রেখেছিল শেখ হাসিনার পুলিশ। রাজনীতিবিদরা ব্রিটিশ আমলেও কারাগার একটি মর্যাদা পেতো সেটুকু শেখ হাসিনা দেয়নি। দেশ ছিল হাসিনার পৈত্রিক সম্পত্তি, তার পরিবারের ছিল একছত্র অধিপতি, তার ছেলে মেয়েরা ছিল রাজপুত্র কন্যার মত এদেশকে চালিয়েছে। ইচ্ছামত জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। সেই টাকা পাচার করে তাদের উত্তর প্রজন্ম যাতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে সেই কাজ তারা করেছে। এজন্যই ডুবাইয়ে দেখা যাবে যত অট্টলিকা সব আওয়ামী লীগের নেতাদের, অথবা কানাডায় অথবা সিডনিতে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন তার কোন সম্পত্তি নেই কিন্তু দেখা গেল পূর্বাচল সিটিতে তার নামে , তার মেয়ের নামে, তার ছেলের নামে , ভাগ্নির নামে, ভাগ্নের নামে দশ কাঠা করে প্লট। দুদকের তদন্তে বের হয়েছে শেখ হাসিনার কোথায় কোথায় সম্পদ আছে তাই একবারে স্পষ্ট।
আমরা কখনো অত্যাচারের বিরুদ্ধে কন্ঠ নিস্তব্ধ রাখেনি জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এটা করতে গিয়ে আমাদেরকে বারবার জেলে যেতে হয়েছে । এমনকি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, দিনের পর দিন রিমান্ডে ছিলাম। কিন্তু তারপরও আমরা বলি শেখ হাসিনা যে কাজ করেছে, তাই আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে কাজ করেছে, তার যুবলীগ -ছাত্রলীগ যে কাজ করেছে, আমরা সে কাজ করব না।