রোবট, সেক্সটয়,

রোবট ব্যবহারে শরীয়তের নির্দেশনা

শায়খ ইবনুল কালাম

রোবট মূলত একটি যন্ত্র। যদি সেটিকে যন্ত্রের পর্যায়ে রাখা হয় এবং মানুষের জায়েজ কাজ সহজ করার জন্য নির্মাণ করা হয়, তাহলে তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি রোবটকে মানুষের আকৃতি দেয়া হয়, তথা চেহারা, চোখ, কান নাক ইত্যাদির মাধ্যমে মুখের অবয়ব দেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই তা মূর্তির আওতাধীন হয়ে হারাম হয়ে যাবে। আর যদি এভাবে মুখের অবয়ব না দেয়া হয়, তাহলে তার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। যেভাবে প্রাণীর ছবির মাথা কেটে ফেললে তা বৈধতার পর্যায়ে শামিল হয়।

ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কি হারাম উপায় অবলম্বন করা যাবে

এ বিষয়ে পাকিস্তানের বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া বানুরী টাউনের ফাতাওয়ায় লেখা হয়েছে,
‘রোবটে যদি প্রাণির অবয়ব থাকে, যেমন চেহারা ইত্যাদি রয়েছে, তাহলে এমন রোবটকে মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তখন এটি তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে আয় করা কোনোটাই জায়েজ হবে না। আর রোবটে যদি প্রাণীর অবয়ব না থাকে, তাহলে এমন রোবট তৈরি করা জায়েজ। এর মাধ্যমে উপার্জন করাও বৈধ।’ ফাতাওয়া নম্বর : ১৪৪৪০৭১০১৮২২

অপরাধ রোধে ইসলামের কর্মপন্থা

সেক্সটয়ের বিধান

বর্তমানে জৈবিক চাহিদা নিবারণের জন্য কিছু সেক্সটয় বা সেক্স ডল বানানো হয়। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মারাত্মক হারাম কাজ। এটি কোনোভাবেই জায়েজ নয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “(অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে) … আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের তাদের মালিকানা (শরয়ী) বান্দি ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। (সূরা মু’মিনুন আয়াত নং ১ ও ৫-৭)

তাফসিরে মাআরিফুল কোরআনে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লেখা হয়েছে— নিজের বিবাহিতা স্ত্রী কিংবা শরিয়তসম্মত বান্দী (যা বর্তমানে মানসুখ হয়ে গেছে) ছাড়া আর কোনো পদ্ধতিতে জৈবিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ নেই। এ দুটি পদ্ধতি ছাড়া পৃথিবীতে জৈবিক চাহিদা পূরণের যত পন্থা আছে সব নিষিদ্ধ। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন উর্দু : ৬/২৯৭)।

মব জাস্টিস প্রতিরোধে ইসলামের কর্ম-কৌশল

নারী রোবটের আওয়াজ শোনা

যদি নারী রোবটের ভেতরে নারীস্বর সংরক্ষিত থাকে, আর তা শোনার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা জায়েজ। আর যদি শরয়ী কোনো জরুরত না থাকে, কেবল বিনোদনের জন্য শোনা হয়, তাহলে তা বৈধ হবে না। বানুরী টাউনের ফাতাওয়া : ১৪৪৪০৭১০১৮২২

অর্থবাজারে ইসলামের নির্দেশনা

রোবটের ব্যবসা

‘রোবটে যদি প্রাণির অবয়ব থাকে, যেমন চেহারা ইত্যাদি রয়েছে, তাহলে এমন রোবটকে মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তখন এটি তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে আয় করা কোনোটাই জায়েজ হবে না। আর রোবটে যদি প্রাণীর অবয়ব না থাকে, তাহলে এমন রোবট তৈরি করা জায়েজ। এর মাধ্যমে উপার্জন করাও বৈধ।’ বানুরী টাউনের ফাতাওয়া : ১৪৪৪০৭১০১৮২২

দায়িত্বশীল নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা

লেখক : পরিচালক, নদওয়াতুল হানাফিয়া বাংলাদেশ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top